শৈশবেই শুরু করতে হবে নেতৃত্বের চর্চা

পৃথিবীর কঠিন সব কাজগুলোর মধ্যে একটি নেতৃত্ব দেওয়া। নেতৃত্ব দিতে সাহস ও আত্মবিশ্বাস থাকতে হয়।
শৈশবেই শুরু করতে হবে নেতৃত্বের চর্চা

একজন নেতা হতে গেলে তার মধ্যে সততা, দক্ষতা, দেশপ্রম থাকতে হয়, হতে হয় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী। আর সবচেয়ে বড় যে গুন থাকা দরকার বলে আমার মনে হয় তা হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা।

একটি শিশুর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী অবশ্যই থাকতে হবে। যেহেতু শিশুর প্রথম প্রতিষ্ঠান তার পরিবার, তাই অভিভাবকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুকে যথেষ্ট সাহস জোগাতে হবে।

অনেক মা-বাবাই শিশুকে অন্য শিশুর সাথে তুলনা করে, শিশু তার পরিবারেই অনেক সময় ভরসা পায় না, পরিবারের তিরস্কার তাকে আত্মকেন্দ্রিক করে দেয়। সে তার ডানা মেলে ধরার আগে গুটিয়ে নেয় নিজেকে। শিশুর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে অনেক শিশু সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সক্ষমতা অর্জন করতে পারে না। 

কিন্তু এগুলো থেকে আমরা নিজেরাও বেরিয়ে আসতে পারি। সেই সুযোগটা করে দেয় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে আমাদের দায়িত্ব পালনের অনেক সুযোগ তৈরি হয়। শ্রেণি কক্ষে ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করা তার মধ্যে একটি। আমরা অনেকেই পিছিয়ে যাই, কিন্তু না শ্রেণি কক্ষের নেতৃত্ব দিয়েই দেশের নেতৃত্বে আসা যায়।

তাছাড়া স্কুল কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব চর্চার জন্যই এই আয়োজন। এতে করে তারা দেশের হাল ধরার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। ভালো মন্দ বিচারবোধ তৈরি হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হওয়া শিখে যাবে। 

তাছাড়া সমাজকল্যাণমূলক নানা কাজে আমাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারি৷ কীভাবে একটি কাজকে সূচালো ভাবে করা যায় কিংবা কীভাবে দায়িত্ব নিতে হয় তা এখানে বেশ ভালো করেই শিখে ফেলা সম্ভব। 

এই বয়সে আনন্দ ও নিজ উৎসাহের সাথে দায়িত্ব নিতে শেখা যায়। এতে করে ভবিষ্যতে দায়িত্বের চাপ কখনো কঠোরভাবে  বিপর্যস্ত করতে পারবে না। আর নেতৃত্ব দিয়ে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নেওয়া যাবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com