সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা হয়েছে প্রায় দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন। দীর্ঘ এই অবসর শিশুদের কাটাতে হয়েছে বাসায় বসে। একা একা সময় কাটানোর ফলে অনেকের মনেই তৈরি হয় বিষন্নতা। এছাড়াও আছে পারিবারিক নানা সমস্যা।
অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। হঠাৎ করে একটি সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেয়াটা এমনিতেও অনেক কঠিন, তার উপর এমন একটা পরিস্থিতি শিশুদের বড় ধরনের মনোকষ্টের কারণ হয়েছে।
তাছাড়া দূরশিক্ষণ ব্যবস্থাটিও নতুন ছিল আমাদের জন্য। সব ক্লাস পরীক্ষা দিতে হয়েছে কোনো না কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে। এ যেমন ভালো ফলাফল বয়ে এনেছে, তেমনি নেতিবাচক প্রভাবও ফেলেছে। শিশুরা নিজেদের ভালো-মন্দ অনেক সময়ই বুঝতে পারে না। তাই অনেকেই ঝুঁকে গেছে খারাপ কোনো কাজে।
অনেকে তো মোবাইল ফোন বা গেইম আসক্ত হয়ে গেছিল, যেটি এখনো তাড়া করে বেড়াচ্ছে। প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ কমিয়ে আনাও সম্ভব হচ্ছে না।
বলা হচ্ছে আমরা নতুন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। কিন্তু মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা কতটুকু তা পুষিয়ে নিতে পেরেছে সেটিই এখন প্রশ্ন।