কুমিল্লার কোটবাড়ি ভ্রমণ

কুমিল্লা সেনানিবাসে আমার এক চাচ্চু থাকেন। তিনি সবসময়ই আমাদের যেতে বলেন, কিন্তু যাওয়া হচ্ছিল না। 
কুমিল্লার কোটবাড়ি ভ্রমণ

একদিন আব্বুকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলতেই রাজি হয়ে গেল। বলল, আমাদেরকে কুমিল্লায় নিয়ে যাবে। বলছি ২০১৯ সালের কথা।
এরইমধ্যে বাবা হঠাৎ বলল, সবাই ২০ ডিসেম্বর প্রস্তুত থেকো আমরা সবাই মিলে কুমিল্লা কোটবাড়ি ঘুরতে যাব। বাবা ১৯ তারিখ রাতে বাড়িতে এল, পরদিন ভোর ৬টায় আমরা কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সেখানে সকাল ৯টার মধ্যে পৌঁছে যাই।

সেখানে গিয়ে আগে আমরা শালবন, বৌদ্ধ বিহার ও লালমাই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। এরপর আমরা ব্লু ওয়াটার পার্কে গেলাম। সেখানে যেতেই দেখি রাস্তার দুপাশে সারি সারি ফুলগাছের সমারোহ, যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। এরপর একটু সামনে গিয়ে দেখি একটা নাগরদোলা। ভেতরে যাওয়ার পথে জীবজন্তু ও ফলের ভাস্কর্য।

আরেকটু ভিতরে এগিয়ে দেখলাম অনেক সুন্দর একটা লেক, আর এর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো ছোট ছোট নৌকা। লেকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল।

এর পাশেই রয়েছে একটি কৃত্রিম ঝর্ণা। এর মধ্যে রয়েছে  অনেক ধরনের মাছ যা দেখে ভালোই লাগছিল। মাছগুলো অনেক সুন্দর ছিল। আমি আর আমার বোন ঝর্ণার পানিতে ভিজলাম ও অনেক মজা করলাম। সেখানে একটা সুইমিংপুল আছে। আমার নামতে ইচ্ছা হচ্ছিল। কিন্তু বাবা নামতে দিলো না।

আমি ও আমার ছোট ভাইবোন মিলে নাগরদোলা ও ট্রেনে উঠেছি। দিনটা বেশ আনন্দে কেটেছে। আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করলাম সেখানে। 
ফেরার পথে বাবা ছোট ভাইবোনদের জন্য খেলনা, পুতুল ও আরো অনেক কিছু কিনে দেয়। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা চাচ্চুর বাসায় গেলাম। সেখানে দুপুরের খাবার সেরে চাচ্চুর বাসায় রাত যাপন করি। সেখান থেকে পরদিন সকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই আমরা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com