পথশিশুদের অধিকাংশই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। প্রাথমিক শিক্ষাও পায়নি তারা।
হ্যালোতে প্রায়ই এই শিশুদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, মৃত্যু কিংবা অর্থের অভাবে তারা আজ এই জীবনকে মেনে নিয়েছে।
কিছুদিন আগে এক সংবাদে দেখলাম, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে ১৩৮তম স্থানে রয়েছে।
আমি মনে করি, সকল শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনা গেলে এই সূচক আমাদের আরও বেড়ে যাবে।
২০০৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএসের এক জরিপ বলছে, সারা বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ১৩ লাখ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, ওই জরিপটির বিরোধিতা করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তর। যদিও পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়নে তাদেরই জরিপ করার কথা।
সংখ্যা জানাটা এই কারণে জরুরি, কেননা সঠিক সংখ্যা ছাড়া তাদের জীবনমানের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। অনেক পথশিশু নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। পেটের দায়ে ছিনতাই ও চুরিও করছে। এমনকি অনেকে মাদকও গ্রহণ করছে।
প্রয়োজনীয় যত্নের অভাবে অনেক পথশিশু অল্প বয়সেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে টাকার অভাবে না খেয়েও থাকছে, যেখানে একটি শিশুর নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পথশিশুদের উন্নয়নে কাজ করছে। তাদের পড়াশোনা করানো, খাবার বিতরণ ইত্যাদি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছে। কিন্তু এগুলো পর্যাপ্ত নয়।
শিশুদের কোমল জীবন সুন্দর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাদের অনাদরে বেড়ে উঠতে হবে কেন? তাহলে কি তারা দেশের ভবিষ্যৎ নয়?