হয়ত আবার ফিরে আসবে সুদিন

মহামারির আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা শুনে বেশ খুশি হয়েছিলাম। তবে কিছুদিন পরই এটা বিরক্তিতে পরিণত হয়। 
হয়ত আবার ফিরে আসবে সুদিন

আমার কোনো ধারণাই ছিল না, আমরা দেড় বছর স্কুলে যেতে পারব না। বাসায় থেকে থেকে একঘেয়েমি লাগত ৷ নতুন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হয়েছে আমাদেরকে৷

কিছুদিন পরেই বন্ধু আর শিক্ষকদের কথা মনে পড়তে থাকল। সবার সাথে কবে দেখা হবে এই অপেক্ষার প্রহরই যেন কাটছিল না।

 কয়েকদিন পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমাদের অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে। প্রথম প্রথম অনলাইনে ক্লাস করতে একটু অসুবিধা হলেও কিছুদিন পর অভ্যস্ত হয়ে যাই। কিন্তু অনলাইন ক্লাসে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলাম। এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট না থাকা এবং দুর্বল ইন্টারনেট সেবা।

অনলাইন পাঠদানে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছি গণিত ক্লাসে। অঙ্ক প্রথমে শিক্ষকের কথা শুনে বুঝতে হয়, তারপরে বোর্ড দেখে খাতায় তুলতে হয়। কিন্তু অনলাইন ক্লাসে নেটে সমস্যা হলে শোনা বা বোঝা কোনোটাই সম্ভব হতো না।

নেটের সমস্যার পরে আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা। অনলাইন ক্লাসে চোখের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এছাড়া মাথা ও ঘাড় ব্যথাসহ নানা সমস্যায় পড়েছি। এসব ক্লাসে কতটুকু মনযোগ দেওয়া সম্ভব সেটাও একটা প্রশ্নের বিষয়। ক্লাসে বসে কে কী করছে, কে সত্যি মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করছে, কে আবার বন্ধুদের সাথে চ্যাট করছে- এসব বের করতে গেলে ৩০ মিনিটের ক্লাস অর্ধেকই শেষ হয়ে যেত।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। আমি আশা করি মহামারি পরিস্থিতি আর অবনতির দিকে যাবে না। আমরা ছাত্রজীবনটা উপভোগ করতে পারব। স্কুলে গিয়ে মনে হচ্ছিল বন্ধুদের জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব আর মাস্কের জন্য আমরা দূরেই রয়ে গেলাম। হয়ত একদিন এই আঁধার কেটে যাবে। আমরা আগের জীবনের মতোই সুন্দর আরেকটি সময় পাব।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com