ঈদুল আজহা আমার বেশি প্রিয়। অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগে। গ্রামে গিয়ে কোরবানির ঈদ উদযাপনে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। কিন্তু এবার মহামারি পরিস্থিতির জন্য গ্রামে যাওয়া হয়নি। তবে ঢাকাতে যে খারাপ লাগছে এমনটিও নয়।
সকাল সকাল গোসল করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজে অংশ নিব আমি। যেহেতু অনেক মানুষের জমায়েত আর করোনাভাইরাসটি অতি ছোঁয়াচে তাই খুব সতর্ক থাকব। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করব। যতটুকু সম্ভব মানুষের সঙ্গে দূরত্ব রাখার চেষ্টা করব।
আমি প্রতিবারই কোরবানীর পর নানাভাবে বাবাকে সাহায্য করি। বাবার কিছু দরকার হলে সেটি এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। বার বার বাসায় যাওয়া কষ্টকর যদিও, কিন্তু কাজটি আমার ভালো লাগে। বছরে একবারই তো করি তাই আলসেমি লাগে না।
মাংস প্রস্তুত করার পর বাবা আর আমি সেগুলো বাসায় আনি। কখনো বাবা সেগুলো আনেন, আমি সাহায্য করি। আবার কখনো আমি সব জিনিসপত্র আনি আর বাবা মাংস আনেন। বাসায় আনার পর মা বসে যান মাংস কাটতে। আমি আর বাবা মাকে কাজে সাহায্য করি।
মাংস কাটার পর মা আর আমি মিলে প্যাকেট প্রস্তুত করি। প্রতিবেশিদের কোনগুলো দেব, গরীবদের কোনগুলো দেব সব ভাগ করি। তারপর আমি সেই প্যাকেটগুলো ব্যাগে করে নিয়ে সবাইকে দিয়ে আসি। ঈদের আনন্দের মধ্যে এটিই সবচেয়ে আত্মতুষ্টি দেয়।
এবারও কোনোকিছুর ব্যতিক্রম হবে না। এভাবেই উৎযাপন করব দিনটি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতি নিম্ন আয়ের অনেক মানুষকেই বিপর্যস্ত করে দিয়েছে, তাদেরকে সাহায্য করতে পারলে আমার অনেক ভালো লাগবে।