হঠাৎ যশোরে

গত বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি। অলস সময় পার করছিলাম। 
হঠাৎ যশোরে

মনে হচ্ছিল যেন একটুখানি মুক্ত বাতাস দরকার। ভাবছিলাম এই বন্দি জীবন থেকে একটু পালাতে হবে।

এরই মাঝে সুযোগ এলো যশোর যাওয়ার। একটি কর্মশালায় অংশ নিতে যেতে হবে। যেহেতু আমি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করি তাই এই সুযোগটা পেয়ে গেলাম।

আমাদের চুয়াডাঙ্গাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মোট ১৯টি জেলা থেকে দুজন করে শিশু অংশ নিবে এখানে। খবরটি শোনার পরই অন্য রকম উত্তেজনা অনুভত হচ্ছিল।

অবশেষে চলে এল কাঙ্খিত দিন। সকাল ৯টায় ট্রেন আমার।  চুয়াডাঙ্গা থেকে আমি আর হৃদিবা নামের এক আপু রওনা হই। আমাদের সাথে অভিভাবক হিসেবে ছিলেন হৃদিবা আপুর আম্মু। 

তিনি এক মজার মানুষ। আমরা সবাই ট্রেনের মধ্যে অনেক মজা করতে করতে যশোরে পৌঁছে যাই। তারপর হাতমুখ ধুয়ে দুপুরের খাবার সেরে নেই। বিকালে ধীরে ধীরে বাকি জেলার শিশুরাও আসতে শুরু করল। 

আমাদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হলো সন্ধ্যায়। একে একে সবার সাথে পরিচিত হয়ে যেন আরও ভালো লাগছিল। আমরা সেখানে দুই দিন বেশ মজা করি। প্রশিক্ষণের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন খেলাধুলা আর গল্পগুজব হয় আমাদের। 

তৃতীয় দিন রাতে আমাদের শেষ পর্ব। চলে এসেছে বিদায়ের পালা। সেদিন মন খারাপ করে ঘুমাতেই যাই। সকাল থেকে শুরু হয় সবার বাড়ি ফেরার পালা। একে একে সবাই বিদায় নিতে শুরু করল। 

আমি, হৃদিবা আপু এবং মুক্তা আন্টি সকাল ১০ টায় চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হই। হঠাৎ ঝলকের মতো আসা এই কয়টা দিন স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com