এক বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে গৃহবন্দি করে রেখেছে এই করোনাভাইরাস। তালাবদ্ধ স্কুলের বেঞ্চগুলো শুধু কল্পনার কোনো বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
কতদিন বন্ধুরা সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া হয়নি। টিফিন পিরিয়ডে কমন রুমে মজার ঘটনাগুলো এখন শুধু স্মৃতি। প্রতি বছর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কিংবা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কী যে মজা হতো। দুই বছর ধরে তাও নেই।
স্কুলের একেকটা দিন এখন শুধু স্মৃতির পাতাতে রয়েছে। প্রিয় বন্ধুদের সাথে এক বেঞ্চে বসে ক্লাস করতে যে আনন্দ যে উৎফুল্লতা তা কি অনলাইন ক্লাসে আছে?
তবে পৃথিবী একদিন সুস্থ হবে। শেষ বিজয় মানুষেরই হবে। আমরা শুধুমাত্র ঘরে থেকেই যুদ্ধে পরাজিত করতে পারি এই মহামারি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস কে। শুধু প্রয়োজন সচেতনতার।
পুরো বিশ্ব দখল করে নেওয়া করোনাভাইরাসকে সচেতনতার মাধ্যমে বিতাড়িত করতে পারি আমরা। তাই বাড়িতে থাকি এবং প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরি।
তাহলে আবারও আমরা এক সাথে স্কুলে যেতে পারব। ফুটবলের শব্দে কিংবা ক্রিকেট ব্যাট-বলের আওয়াজে মেতে উঠবে সবুজ মাঠ। ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে গ্রন্থাগার। আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় দরাজ কণ্ঠে মুগ্ধ হবে অডিটোরিয়াম। মানুষের সাথে মানুষের থাকবে না কোনো দূরত্ব। অজানা কে জানতে নির্ভয়ে বেরিয়ে পড়ব শিক্ষাসফরে। হাতে হাত রেখে সাম্য-ঐক্যে পৃথিবী নতুন ভাবে সেজে উঠবে।