ষাটগম্বুজ ভ্রমণ

আমি এমনিতেই ঘুরতে পছন্দ করি। এরপর সাথে থাকে যদি কাছের বন্ধু বা বড় ভাই; তাহলে তো কথাই নেই।
ষাটগম্বুজ ভ্রমণ

তাই গত বছর মানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ আমি আর আমার এক বন্ধুসম বড় ভাই ঢুঁ মেরে আসলাম ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে।

আমার বাড়ি বাগেরহাটেই। আমরা সবাই জানি, এ জেলায়ই রয়েছে ষাটগম্বুজ মসজিদ। যেটি পুরাতন কীর্তি হিসেবে সবার কাছে বেশ পরিচিত। এটি বাগেরহাট জেলার সুন্দর ঘোনা গ্রামে অবস্থিত। 

মসজিদে ঢুকতেই মন ভালো হয়ে যায় আমার। মসজিদ প্রাঙ্গনে এত এত ফুলের গাছ মুগ্ধ হতে হয়।

বলা হয় এটি বাংলার মুসলমান শাসনকালের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। খান  জাহান  আলীর সমাধির তিন মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে ষাটগম্বুজ মসজিদ অবস্থিত। অবশ্য মসজিদের নামানুযায়ী গম্বুজ ৬০টি ধরা হলেও, এর কিন্তু গম্বুজ ৭৭টি। অনেক সময় এটি বিভিন্ন চাকরি বা ভর্তির পরীক্ষাতেও আসতে দেখেছি!

ষাটগম্বুজ  মসজিদের পশ্চিম পাশে একটি দিঘি রয়েছে। ১৯৯৩ সালে ষাট গম্বুজ মসজিদটিকে জাদুঘরে রুপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই জাদুঘরেই রক্ষিত আছে প্রাচীনকালের নানা নিদর্শন।

জানা যায় ষাটগম্বুজ মসজিদটি পনের শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ করা হয়। তুর্কি  সেনাপতি ও ইসলামের  কনিষ্ঠ  সাধক উলুক খান জাহান এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।

সবাই সময় পেলেই ঘুরতে যাবে তোমরাও। ইতিহাস-ঐতিহ্যগত এমন নির্দশন দেখবে। তাহলে মন যেমন ফুরফুরে থাকবে, নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতেও পারবে অনেক।

তবে মহামারির এ সময়ে ঘুরতে যাওয়া যাবে না। তাই ঘরেই থাক, আগের ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পার। আর নইলে মহামারি কেটে গেলে কোথায় ঘুরতে যাবে তার পরিকল্পনা করতে পার। কিন্তু ঘুরতে যাওয়া যাবে না মোটেও।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com