আমরা অনেকেই জীবনটাকে বোঝার চেষ্টা করি, আবার হয়ত অনেকেই বোঝার চেষ্টা করি না কিংবা বুঝতে চাই না। অনেকেই আছেন যাদের কাছে জীবনটা স্বর্গের মতো সুন্দর। আবার অনেকের কাছেই এই জীবনটাই বিতৃষ্ণার কারণ।
এ ভিন্নতার কারণ হলো সুখ। যে মানুষটির কাছে জীবনটা স্বর্গের মতো সুন্দর, সে মানুষটির ভালো থাকার একমাত্র চাবিকাঠি হলো এই সুখ। সে একজন সুখী মানুষ তাই সে জীবনটাকে এত সুন্দর করে চিন্তা করে দেখে। আমরা অনেক কিছু অর্থ দিয়ে কিনতে পারি, কিন্তু সুখ তো আর কেউ অর্থ দিয়ে কিনতে পারে না। এটি কেউ রঙিন কাগজে মুড়িয়ে উপহার হিসেবেও দেয় না। এই ভালো থাকাটা সম্পূর্ণ নিজের ব্যাপার। যা কিনা অর্জন করে নিতে হয় এবং তা অর্জন করা সম্ভব নিজের কাজ, বুদ্ধি ও যোগ্যতার মাধ্যমে।
এখন ধরে নেওয়া যাক, একটি বালক হাঁটতে হাঁটতে একটি উঁচু আম গাছের নিচে এসে দাঁড়াল। সে চিন্তা করল আমটি সে চায়। যদি সে গাছটির নিচে সারাদিন বসে থাকে এবং ভাবে আমটি মাটিতে পড়ল না আর পড়বেও না। তাহলে হবে না।
আমটি পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম তাকে সেই উঁচু আম গাছের উঁচু ডালে পৌঁছে তা পাড়তে হবে। তবেই সে আমের মিষ্টতা অনুভব করতে পারবে। সুখ জিনিসটাও এমনি। যে তার বুদ্ধি, যোগ্যতা ও কর্মের মাধ্যমে তা অর্জন করতে পারবে, সুখও তার জন্যে অপেক্ষা করে থাকবে।
অনেকেই এই সুখের সন্ধান করে কিন্তু সে অনুযায়ী কোনো কাজই করে না। তাই কোনো সুখই লাভ করতে পারে না। তখনই তাদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ ও কষ্টের। কখনো আশাহত হওয়া উচিত নয়। যে লক্ষ্যের সন্ধানে আছি সেটা অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে অবশ্যই সুখ এসে ধরা দিবে হাতে।