চলে সব উল্টো পথে উল্টো রথে (ভিডিওসহ)

একটি বহুল প্রচলিত শব্দ সচেতনতা। এর মধ্যেই রয়েছে অনেক সমস্যার সমাধান। এই মহামারিতে স্বাস্থবিধি মানায় আমরা যদি সচেতন হই তবে কমে যাবে সংক্রমণের হার। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা কতটুকু সচেতেন?
চলে সব উল্টো পথে উল্টো রথে (ভিডিওসহ)

সারা পৃথিবীতে চলছে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় আক্রমণ। দেশে দেশে মাস্ক পড়া এখন বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশেও মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ। কিন্তু হ্যালোর ক্যামারায় ধরা পড়ে গণ পরিবহন,  দোকান পাট, বাজার, রাস্তা ঘাটসহ অনেক জায়গায় অনেক মানুষ অসচেতন। তারা মাস্ক পরছেন না বা সঠিক ভাবে পরছেন না। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না চিকিৎসকের চেম্বারেও।

খোলা খাবার স্বাস্থের জন্য নিরাপদ নয়। এই মহামারির সময়ে তা আরো বেশি অনিরাপদ। কিন্তু এই খোলা খাবার ক্রয়-বিক্রয়ে আমরা কি সচেতন? ঢাকা শহরের ফুটপাত, হোটেল-রেস্তোরাসহ বিভিন্ন জায়গায় ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে খোলা খাবার।

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হলে পরিবেশ দূষিত হয়। তারপরও যত্রতত্র ফেলা হয় ময়লা, আবর্জনা। বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য যে উদ্যান, সেখানেও ময়লা ফেলে বাতাস করা হচ্ছে দূষিত।

ফুটপাত দখল করে বসেছে দোকান। কোনো নোটিশ ছাড়াই রাস্তা বন্ধ করে চলছে মিটিং। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সুস্থ থেকে অসুস্থ সবাই আটকে আছে যানজটে। ফুটওভার ব্রিজ ফাঁকা পড়ে আছে, মানুষ রাস্তা পাড় হচ্ছে জীবনরে ঝুঁকি নিয়ে। আবার নিউ মার্কেট ফুটওভার ব্রিজে এত দোকান যে, স্বাভাবিক ভাবে হাঁটবার উপায় নেই।

ঢাকা শহর ঘুরে এমন অনেক অসচেতনতার চিত্র ক্যামারাবন্দী হয় হ্যালোর ক্যামেরায়।

ব্যাখ্যা করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অমিত সাহেব। তিনিও হ্যালোকে বলেন, “সচেতনতা শব্দটা আসলে বলা যতটা সহজ,  পালন করা ততটাই কঠিন। শুধুতো বলাই, পালন করতে গেলে অনেক কিছু মানতে হয়, লোভ সামলাতে হয়, কাজ করতে হয়। ফলে যত সহজেই আমরা বলে ফেলি আমরা সচেতন, প্রকৃতপক্ষে আমরা সচেতন না। এটাই বাস্তবতা। তবে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত সবক্ষেত্রেই।”

পথচারী ইব্রাহীম হ্যালোকে বলেন, “করোনার এই সময়ে আমাদের মাস্ক পরা উচিত। আমাদের সচেতন হতে হবে আরও।”

সচেতনতার কথা বললেও হর-হামেশা অনেক অসচেতনতার চিত্র দেখা মিলে আমাদের চারপাশে।

তাহলে সচেতনতা কি কেবল একটি শব্দ হয়েই থাকবে? আমরা কবে হয়ে উঠবো সত্যিকারের সচেতন? 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com