ট্রেন আমার খুব পছন্দ। রেলপথে যাতায়াতই আমার বেশি ভালো লাগে। আমার দাদা বাড়ি নেত্রকোণা জেলার আতপাড়া উপজেলায়। তাই নেত্রকোণা পর্যন্ত ট্রেনের টিকেট কাটা হলো আমাদের জন্য।
আমি, মা-বাবা আর ছোট ভাই মাস্কসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় কমলাপুর রেলস্টেশনে গেলাম। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ছাড়ে আমাদের ট্রেন।
আমাদের ট্রেনের নাম মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার স্টেশন মোহনগঞ্জের নামেই এই ট্রেনের নাম। কমলাপুর থেকে সঠিক সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছে সঠিক সময়েই।
এরপর যাত্রাবিরতি দেওয়া হয় টঙ্গি স্টেশনে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। দুইটি ট্রেনের সঙ্গে হয় ক্রসিং। এরপর গফরগাঁও, ফাতেমা নগর পেরিয়ে ট্রেন এসে দাঁড়ায় ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে।
২০ মিনিট অপেক্ষা করে আবার ছোটা শুরু। তারপর গৌরীপুর জংশন স্টেশন, শ্যামগঞ্জ জংশন স্টেশন পেরিয়ে ট্রেন চলে আসল আমাদের গন্তব্য স্থান নেত্রকোণায়।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে আমরা পৌঁছালাম। রাতে পৌঁছে গেলাম আমার প্রিয় দাদু বাড়িতে।