আমিও দারুণ আনন্দিত। কারণ, অনেক দিন পর ঘর থেকে বের হতে পারব। গ্রামের নির্মল প্রকৃতিতে প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারব।
আমি এই বছরের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। মহামারির জন্য সরকার পরীক্ষা বাতিল করায় এক প্রকার মানসিক শান্তি পেয়েছি। সব মিলিয়ে আমার খুশি দেখে কে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিলাম। ইউটিউব ভিডিও দেখে আগেই জেনেছিলাম কীভাবে রেলের টিকেট কাটতে হবে। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে চিলাহাটি অভিমুখি নীলসাগর এক্সপ্রেসে করে সান্তাহার পর্যন্ত গেলাম। ক্রসিংয়ের কারণে ৩০ মিনিট বিলম্ব হলো। অবশেষে আমরা দুপুর দুইটার মধ্যে বাড়ি চলে এলাম।
অনেক ভালো লাগল বাড়িতে সবার সাথে দেখা করে। আমরা সেদিন আর কোথাও বেড়াতে যাইনি, ঘরেই ছিলাম। পরদিন সকালে বের হই। ঘোরাঘুরি হলো, আড্ডা দিলাম। মনটাই যেন নতুন হয়ে গেল। দেশের সবচেয়ে বড় বিল চলনবিলেও গেলাম।
এরপর নওগাঁয়, মামাবাড়িতে বেড়াতে যাই। এভাবেই চলে গেল দশ দিন। প্রতিবার নানা বাড়িতে গেলে হাটে যাওয়া হয়। এখানে সপ্তাহে দুইদিন করে হাট বসে। সব কিছুই পাওয়া যায়। আর সবই তাজা আর সবুজ।
এবার প্রাণের ঢাকায় ফেরার পালা। দুপুরে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেসে করে ঢাকায় ফিরলাম। এতসবের মাঝেও সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কথা কিন্তু ভুলিনি। যথাযথ নিয়ম মেনেই ঘুরে এলাম আমার গ্রামের বাড়ি।