আনন্দে বাঁচুক জীবন

জীবনের রঙ একেক জনের কাছে একেক রকম। কিন্তু জীবন যে সহজ নয়, তাতে বেশিরভাগই একমত।
আনন্দে বাঁচুক জীবন

আমাদের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল - একে সহজ ভাবা। এটা প্রকৃতপক্ষে যু্দ্ধক্ষেত্রে। প্রতিমুহুর্তে বিনাশের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর মধ্যেই টিকে থাকার শক্তি আর সাহস জোগাতে হয়। আর জীবন এত অনিশ্চিত বলেই, জীবন সুন্দর! 

অনেকেই নিজের জীবন নিজে কেড়ে নেয়। এই মৃত্যুগুলোর আগের বেশিরভাগ কেইস স্টাডি থেকেই জানা যায়, তারা নাকি জীবন যুদ্ধে হেরে গেছিলেন। আসলে এটা নিছকই বোকামি। হেরে যাব বলেই তো আমাদের জিততে হবে। এরজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষই এটা করতে সক্ষম। মানুষ হারতে পারে বলে আমি মনে করি না।

দুঃখ-কষ্ট আর না পাওয়া থাকবেই। এগুলো জীবনের অংশ। এগুলো আছে বলেই জীবনকে উপভোগ করা যায়। অন্ধকার না থাকলে আলোর কোনো মূল্য থাকত না। আলো দিয়ে অনেক কিছু করা যায় এটা বোঝা যেত না, যদি অন্ধকার না থাকত।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে না পেরে আত্মহত্যার খবর পাই আমরা, কখনো দেখি প্রেমের সম্পর্ক সফল না হওয়ায় কেউ এই পথ বেছে নিয়েছে। এগুলো এক ধরনের ব্যর্থতা ঠিকই, তবে সাময়িক ব্যর্থতা। এর মানে এই নয় যে, জীবন ব্যর্থ হয়ে গেছে। কারণ এগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, সফল হওয়া সম্ভব। হয়ত একটু শ্রম, মেধা আর সময় দিতে হবে।

২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়,  বিশ্বজুড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ নিজের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিবছর মারা যাচ্ছে আট লাখ মানুষ। 

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি আরও জানায়, বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনার পর আত্মহত্যাই ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের ক্ষেত্রে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুর পর আত্মহত্যা দ্বিতীয় প্রধান ঘাতক। আর কিশোরদের ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা ও সহিংসতার পর আত্মহত্যায় মৃত্যু সবচেয়ে বেশি।

কোটি কোটি মানুষের মধ্যে এই সংখ্যা খুবই নগন্য। কিন্তু এটা শূন্যের কোটায় নেমে আসুক এটাই কামনা। প্রতিটি জীবনই পৃথিবীর জন্য, মানুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা।

লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com