নিজেকে ও আশে পাশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে গৃহবন্দি জীবন কাটাচ্ছি। ঘরে বসে নিজে নিজে পড়াশোনাটাও খুব একটা হচ্ছে না। অস্থিরতা যেন কাটেই না। আগে কলেজের চাপে কিছুটা পড়াশোনা হতো, গৃহশিক্ষক ছিলেন। এখন তাও নেই। বদলে গেছে দিনলিপি।
গল্পের বই পড়া, রান্না, ঘর গুছানো ইত্যাদি নানাকিছু করে ব্যস্ত থাকতে চেষ্টা করছি। নিজের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে। অনভিপ্রেত কল্পনা হানা দেয়।
এখন এইচএসসি টেস্ট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতাম। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে পরীক্ষাগুলো পেছাচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অবস্থা চিন্তা করলে আরও খারাপ লাগে। ওদের প্রভাবটা আমাদের ওপরও অনুভব করি।
এতদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত। কিন্তু আগাচ্ছে না যেন কিছুই। সামনে কী হবে কেউ বলতে পারছে না।
এদিকে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখনো উর্ধ্বমুখী। রোজ মৃত্যুর তালিকা দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরচেয়ে ভয়াভহ পরিস্থিতি আর কী হতে পারে। মানসিক অবস্থাটাও খুব একটা ভালো থাকার কথা নয়। স্বাভাবিক জীবন যে আমরা হারিয়ে ফেলেছি।
মাঝে মাঝে মনে হয় টাইম মেশিনে যদি সামনে যেতে পারতাম বা ভিডিও ক্লিপের মতো নিজের জীবনকে মন মতো টেনে নিতে পারতাম। তাহলে হয়ত শান্তি খুঁজে পেতাম, এই মহামারি হয়ত পার করে ফেলতাম।