পড়াশোনার প্রতিযোগিতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, বাবা মা তাদের সন্তানদের বিনোদনের সুযোগটুকু দিচ্ছে না। সকাল থেকে স্কুলের চাপ শুরু, বিকেল বেলায় প্রাইভেটের চাপ আর রাতে স্কুল থেকে দেওয়া বাড়ির কাজের চাপ। এইসব কিছু শিশুর কাছে একসময় নিরানন্দময় হয়ে ওঠে। তারা এই চাপ থেকে মুক্তি চায়।
অভি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। লেখাপড়ায় বেশ ভালো। কিন্ত সামনে পিইসি পরীক্ষা থাকায় তার বাবা-মা শুরু করে দিয়েছেন অতিরিক্ত চাপ। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়া, বাসায় এসে খাওয়ার পর আবার প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়া। আর রাতে ১২টা অবধি পড়ে তারপর ঘুমাতে যাওয়া।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিনও বিনোদনের সময় পায় না অভি। এভাবে মানসিক চাপে ভুগতে ভুগতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া শুরু করে সে।
ক্লাসে স্যার পড়া দেওয়া সত্বেও সে বলে, আজ কোনো পড়া দেয়া হয়নি। প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে না গিয়ে অন্য জায়গায় আড্ডা দেওয়া। এভাবে শিশুটি বাবা-মাকে ফাঁকি দিয়ে খারাপ কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
বাবা-মা যদি একবার নিজের ছোটবেলার কথা ভাবত, তারা কি এমন বিনোদনহীন জীবন কাটিয়েছে? উওর অবশ্যই না। আপনারা কি আজ ভালো অবস্থানে নেই? তাহলে শিশুদের কেন এত চাপ দিচ্ছেন। আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন আপনার সন্তান কোন দিকে বেশি আগ্রহী?
শিশুদের মতামতের সুযোগ দিন। বিনোদনের সুযোগ দিন। তাদের ইচ্ছাকে বিকশিত করতে দিন। তা না হলে আপনার সন্তানও একদিন হয়ত অন্যায় করতে শুরু করবে। বুয়েটে পড়ান কিংবা অক্সফোর্ডে পড়ান সে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠবে না। সে অবক্ষয় নিয়েই বেড়ে ওঠবে।