একদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেনী জেলা প্রতিনিধি শামীম ভাইয়ের কাছে জানতে পারলাম হ্যালোর কথা।
ভাইয়া বললেন, “সেখানে তোমাদের লেখালেখি করার সুযোগ আছে। তোমাদের মতো শিশুদের লেখা সেখানে ছাপানো হয়।“
কয়েকদিন পর ভাইয়া আবার জানালেন ফেনীতে একটি শিশু সাংবাদিকদের কর্মশালা হবে। শুনে ভেবেছিলাম টাকা পয়সা নিশ্চয়ই লাগবে। কিন্তু ভাইয়া জানালেন এখানে কোনো ফি লাগে না। তুমি চাইলে নিবন্ধন করতে পারো, সাথে সাথেই নিবন্ধন করে ফেললাম।
অপেক্ষায় ছিলাম কবে কর্মশালা হবে। একদিন ঢাকার হ্যালো অফিস থেকে কল আসে। তারা জানান আমি শিশু সাংবাদিকদের কর্মশালার জন্য সিলেক্ট হয়েছি। কর্মশালায় আমি অংশগ্রহণ করতে পারবো।
আমরা ঢাকায় থাকি। ক্লাস টিচারের কাছ থেকে অনুমতি মাকে সঙ্গে নিয়ে ফেনী চলে যাই। পরে অবশ্য জেনেছি, আমি ঢাকা অফিসে ঢাকার কর্মশালাতেই অংশ নিতে পারতাম।
৩১ অগাস্ট নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ হলে উপস্থিত হই। ওখানে গিয়ে অবাক হয়ে দেখি যে, ২০ জন প্রশিক্ষণার্থীর অনেকেই আমার পরিচিত ছোট ভাই-বোন। সবাই মিলে যথাসময়ে কর্মশালা শুরু করলাম।
প্রথমে জেলা প্রশাসক আমাদের কর্মশালার উদ্বোধন করেn এবং আনন্দের বিষয় তিনি আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন।
দুই দিনে একে একে সেশনগুলোর মাধ্যমে জানতে পারলাম সাংবাদিকতা কী? কোনটি খবর? কোনটি খবর নয়? সাংবাদিকতার দায়িত্ব, নৈতিকতা, গুণাবলি ইত্যাদি। শিশু অধিকার, শিশু আইন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি, ভিডিও রিপোর্ট কিভাবে করা হয় তাও শিখে ফেলেছি।
মাত্র দুই দিনে যে এতে কিছু জানা যায় তা আমার জানা ছিল না। একজন শিশু সাংবাদিক হতে হলে কী করতে হবে তা জেনে আবার ঢাকায় ফিরেছি। সাংবাদিক হতে পারব কিনা জানি না। কিন্তু সাংবাদিকতার কিছু কিছু বিষয়ে ধারণা লাভ করেছি।