এই এলাকায় ১০ মিনিট হাঁটলেই দেখা মিলবে এমন অনেক শিশুর। সেদিনই এমন আরও পাঁচ জন শিশুর সঙ্গে দেখা হয় আমার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বর, টিএসসি গেট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ফুল বিক্রি ছোট ছোট শিশুরা।
মাঝে-মধ্যে রাজু ভাস্কর্যের সামনের রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে দৌড়েই ফুল বিক্রি করতে দেখা যায় এসব শিশুদের।
আমার হাতে ক্যামেরা দেখে অনেক শিশুই কথা বলতে চায়নি, কারণ তাদের যদি এ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় সেই ভয়ে।
জানা গেল, সব ফুল এবং ফুলের মালা বাহারি হলেও তা বেচা সব সময় সহজ হয়ে ওঠে না। অনেক সময় তারা অনেকটা জোরাজুরি করেই ফুল কিনতে বাধ্য করে ক্রেতাদের।
সাত বছর বয়সী সুরাইয়া বলে, “আমি নয়ন তারা আর গোলাপফুল বিক্রি করি। অনেক সময় জোর করেও ফুল বেচি।”
তবে প্রতিদিনের এই উপার্জনের পুরো টাকাটাই দিয়ে দিতে হয় মা-বাবা অথবা মহাজনকে।
শীলা নামের এক শিশু বলে, “প্রতিদিন তিন-চারশ টাকা আবার কোনোদিন দুইশ-একশ টাকার ফুল বিক্রি করি। এই টাকাগুলো আম্মুকে দিয়ে দেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থীর কল্যাণে এদের কয়েকজনের আদর্শলিপির সাথে পরিচয় ঘটলেও নেই সঠিক কোনো দিশা। সুবিধা বঞ্চিত এসব শিশুরা সারাদিন ফুলের সাথে থাকলেও, তাদের জীবনটা কোনোভাবেই ফুলের মতো নয়।