তবে সাংবাদিকতার কিছুই জানতাম না। মামার মাধ্যমে জানতে পারলাম হ্যালো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কথা। সেখানে শিশুদের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে খবর ছাপানো হয়, ছাপানো হয় শিশুদের মতামত।
মামার কাছ থেকে জানার পরই নিবন্ধন করে ফেলি। এর কিছু দিন পর হ্যালো থেকে ফোন পেয়ে আমি তো খুবই আনন্দিত। খুশি বহুগুণে বেড়ে গেল যখন শুনলাম আমাদের একটি কর্মশালাও হবে।
নির্ধারিত তারিখে যথাসময়ে প্রশিক্ষণ হলে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে দেখি আমি ছাড়া কেউ আসে নি। পাঁচ মিনিট পর এক এক করে ৩৪ জন উপস্থিত হলো। ভাবলাম নতুন পরিবেশ, নতুন মুখ, বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে মানিয়ে নেওয়া বেশ কঠিন হবে। কিন্তু না ভুল ভেঙে গেল খানিক বাদেই। সবাই মিলে কর্মশালা শুরু করলাম।
জানতে পারলাম সাংবাদিকতা কী, সাংবাদিকের দায়িত্ব কী, নৈতিকতা কী, কোনটি খবর-কোনটি খবর নয়। নানা বিষয় সম্পর্কে জেনেছি, শিশু অধিকার, শিশু আইন সম্পর্কে ও অনেক কিছু জেনেছি, এত অল্প সময়ে যে এত কিছু জানা যায় এই প্রশিক্ষনে না আসলে বুঝতে পারতাম না। শিশুদের বেঁচে থাকার জন্য যে কত ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এখানে না আসলে এই সব জানতে পারতাম না। ভবিষতে পুরো সাংবাদিক না হলে ও সাংবাদিকতা সম্পর্কে ধারনা থাকবে। এটাই বা কম কী?