কিন্তু মনটা খারাপ হয়েছিল নোয়াখালীর সুবর্নচরে এক মায়ের উপর চালানো পাশবিক নির্যাতনের কথা শুনে। অনেকে ভেবেছেন বছরের প্রথম দিন পাশবিক নির্যাতন দিয়ে শুরু হলো! সবার বিবেক নড়ে উঠছিল। কিন্তু কই তার পরে তো থামেনি এই নির্যাতন। প্রতিদিন, আমি প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখতে পাচ্ছি কেউ না কেউ নির্যাতিত হচ্ছে। তবে কি আমরা এই পাশবিকতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি?
এমন কোনো দিন পত্র-পত্রিকার পাতা এই ধরনের খবরবিহীন দেখিনি। দুঃখটা আরও বেশি হয়ে মোচর দেয় যখন দেখি দুই আড়াই বছর বয়সের শিশুও বাদ যায় না তাদের লালসা থেকে।
গা শিউরে ওঠে যখন শুনি, ছয় বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, নির্যাতনের পর পুকুরে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে, দুই সন্তানকে ভয় দেখিয়ে মাকে নির্যাতন করা হয়েছে! এমন খবর শুনে বিব্রত হই, মনে হয় এ কোন দেশে বাস করছি? যে রাষ্ট্র কোনো শিশু কিংবা মায়ের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম!
বছরের প্রথম মাসেই দেশের প্রথম সারির এক দৈনিকের তথ্যানুসারে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪০ জন, তার মধ্যে ২৭ জনই শিশু ও কিশোরী!
এই অবস্থায় রাষ্ট্রের করণীয় কী? প্রথমত ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শাস্তির পাশাপাশি সচেতনতাও জরুরি। প্রতিটি গ্রামে ধর্ষকের শাস্তি ও আইন বিলবোর্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা যেতে পারে। মানুষকে বোঝাতে হবে ধর্ষণ ঘৃণিত এবং এর শাস্তি কী?