নিজের কল্পনা জগতে সাজিয়ে নেই এক নিজস্ব রাজ্য। শৈশবে এটা প্রায় সবার মধ্যেই থাকে। ভবিষ্যতে পারব কী পারব না এটা নিয়ে কর্ণপাত করার সময় কোথায়।
আত্মবিশ্বাসী শিশুমন নিজেকে দেখে আকাশের জ্বলজ্বলে তারার মতো উজ্জ্বল। সাফল্য অথবা ব্যর্থতা একটা সময় মানুষের জীবনে ফলাফল হিসেবে আসে। তখন নিয়তিকে মেনে নিতে হয়। কখনো কখনো জীবনকে চরম মাশুল দিতে হয়।
এরজন্য রাষ্ট্রের ব্যর্থতাও আছে। তারা আমাদের সবার জন্য কর্মসংস্থান করতে পারছে না। কিন্তু নিজের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছি আমি। আমি কেন সময়কে কাজে লাগাতে পারিনি। মূল কথা হলো আমরা যেভাবে নিজের কল্পনার রাজ্যকে সাজাই সেভাবে যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা সফল হতে পারব।
দেখা গেছে আমি লেখক হতে চাই, আমরা বাবা-মা সেটা চান না। তারা নিজেদের অপূর্ণতাগুলো আমাকে দিয়ে পূর্ণ করতে চান। সে জন্য যত প্রকার চাপ আছে সেটা আমাকে দিতে থাকেন।
এভাবে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে নিয়ে সামনে আগাতে পারে না। সে হীনমন্যতায় ভোগে, আত্মবিশ্বাস পায় না। বাবা-মায়ের স্বপ্ন আর তার স্বপ্ন যখন আকাশ পাতাল ব্যবধান দেখে তখন সে দিন দিন ভেঙে পড়ে।
আমি আমার নিজের স্বপ্নকে পূর্ণ করতেই কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু মাঝে মাঝে কখনো আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। আমাদের বন্ধুরাও অনেক সময় আমাদের পাশে থাকে। বন্ধুদের মধ্যে কেউ একজন থাকে সে সার্কেলটাকে লিড দিয়ে থাকে। তাকেও বিভিন্ন সমস্যার ভরসা হিসেবে নিয়ে থাকি আমরা। এগিয়ে যেতে হলে বন্ধুদের ভূমিকাও অনেক।
লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়। তাই নিজেকে সেভাবেই বড় করতে হবে। পরিবার বা বন্ধুরা এতে যদি পাশে না থাকে তবে নিজেকেই নিজে সাপোর্ট দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। যদি তোর ডাক না শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে আরকি। একলাই পাড়ি দিতে হবে অনেক দূর। ইচ্ছা থাকলে উপায় হবেই।