আজ যে আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি এটি তারই আবদান। আমার মা-বাবা সময় পেলেই তার সম্পর্কে নানা গল্প বলতেন। আমার দাদু স্বচক্ষে বঙ্গবন্ধুকে এক জনসভায় দেখেছেন।
দাদুর মুখেও শুনেছি তার গল্প, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞের গল্প, গাছের কোটোরে লুকিয়ে থেকে পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে বাঁচবার ভয়াবহ বিভৎস গল্পও।
প্রত্যেক দেশের স্বাধীনতার জন্য একজন মহান ব্যক্তির অবদান থাকে আর আমাদের দেশের সেই মহান ব্যক্তিটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তার সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারলাম।
চলছে শোকের মাস, শোকাবহ অগাস্ট। অগাস্ট মাস উপলক্ষে আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাসের পর হাজতে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্মজীবনী ‘‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’ বইটি পাঠ করে শোনানো হয়।
সেখান থেকে জানতে পেরেছি কিশোর বয়সে মুজিব অত্যন্ত ডানপিটে ছিলেন। আমরা সবাই জানি ১৯৪৮ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার অবদান, কিন্তু অনেকেই জানেন না যে তিনি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বক্তব্য শোনার জন্য বারবার ছুটে যেতেন ভারতে।
তার সাংগঠনিক প্রতিভা জাদুকরী যা অতুলনীয়। আমি তাকে আমার আদর্শ হিসেবে মানি।
তিনি সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করেছেন। কিশোর বয়সে জীবনের প্রথম জেল খাটেন তার এক বন্ধুকে বিপদ থেকেবাঁচাতে গিয়ে। তার এক কথাতেই বাঙালি জাতি জাগ্রত হয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশের স্বাধীনতার জন্য। তার বলিষ্ঠ কণ্ঠ আজও বাঙালিদের উজ্জীবিত করে।
অনেক আগে একবার টুঙ্গিপাড়ায় যাবার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে গিয়ে তার স্মৃতি বিজড়িত জায়গা ও কবর দেখেছি।