একটি শিশুর জন্মের পর, অনেক সময় জন্মের আগেও তার পরিবার; বিশেষ করে তার মা-বাবা সবার আগে শিশুটির নাম খুঁজে বের করেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন।
আমার নামটা আমি নিজেই রেখেছি! হ্যাঁ, শুনতে নিশ্চয়ই হাস্যকর শোনাচ্ছে। কিন্তু কথাটা মিথ্যা নয়। নিজের নাম নিজে রাখার একটা ছোট ইতিহাস আছে। সেটাই আমি আজ বলতে চাই।
আমার জন্মের পরে আমার ঠাকুরমা নাম রেখেছিলেন সম্পা। তখন সবাই সম্পা বলেই ডাকত। একটু বড় হবার পর যখন আমি নিজের নাম বলার চেষ্টা করতাম তখন সম্পাটা পম্পা হয়ে উচ্চারিত হতো। নামটা সবার ভালো লেগে গেল। সেই থেকেই সম্পার জায়গায় পম্পা।
সেখানেই ইতিহাসের শেষ হয়নি। যখন স্কুলে যেতে শুরু করলাম তখন অনেকেই আমার নামের অর্থ জিজ্ঞাসা করত, আমি বলতে পারতাম না। খারাপ লাগত এটা ভেবে, সবার নামের অর্থ আছে আমার কেন নেই?
অনেক খোঁজার পরেও আমার নামের কোন অর্থ আমি খুঁজে বের করতে পারি নি। আমার নামটা সত্যিই অর্থহীন! কিন্তু কিছুদিন আগে আমি একটি ধর্মগ্রন্থ থেকে জানতে পেরেছি, সেখানে পম্পা নামের একটি সরোবরের কথা উল্লেখ আছে।
এখন আর এটা ভেবে কষ্ট পাই না যে আমার নামের কোন অর্থ নেই। বরং এটা ভেবে আনন্দ পাই যে আমার নামটা একটি সরোবরের নামে।
এখন আমার নামের অর্থ আমি সবাইকে বলতে পারি। আর সে অর্থটি আমার কাছে এতটা মূল্যবান যে ‘পম্পা’ নামটি পৃথিবীর সেরা নাম বলেই আমার কাছে মনে হয়!
আর নিজের নাম নিজে রাখার ইতিহাসটাও যে খুব ব্যতিক্রমী আর চমকপ্রদ ব্যাপার, সেটা ভেবেও আমি আমার নামটিকে খুব ভালোবাসি!