বিশ্বকাপনামা

তখন আমি অনেক ছোট, বয়স কত আর হবে, ছয় কি সাত। টিভি নামক জাদুর বাক্সের সাথে পরিচয় তখন থেকেই। ইয়া বড় এক বাঁশের মাথায় এন্টেনা লাগিয়ে সাদাকালো টিভিই ছিল তখন ভরসা।
বিশ্বকাপনামা

প্রতিদিনকার রুটিনে রাত ১০টার খবর রোজই দেখা হতো। তখন খবরে দেখতাম মোহামেডান জয়লাভ করেছে, আবাহনী জয়লাভ করেছে আর সেই থেকেই ফুটবল খেলার ক্লাব হিসেবে এদের সাথে পরিচয়। খেলার সংবাদে ততটা কখনই গুরুত্ব দেওয়া হতো না!

বর্হিবিশ্বের ফুটবলের সাথে আমার পরিচয় ২০১০ সালে। কিন্তু তখনও নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশের খেলা দেখার খুব একটা আগ্রহ তৈরি হয়নি। তবে মেসি আর কাকাকে চিনতাম। তখন পেপসির সাথে তাদের জীবন বৃত্তান্ত ও ছবি সম্বলিত ছোট্ট কার্ড জমিয়ে রেখে দিয়েছিলাম বন্ধুদের দেখানোর জন্য।

এই পর্যন্তই। এরপর ২০১৪ সালে ২০তম বিশ্বকাপের আসরও চলে গেল ঘটা করে। একটা খেলাও দেখা হয়নি, এই দুই বিশ্বকাপের।

তবে বাইরে যখন হই হুল্লোড় শুনতাম তখন বুঝতাম কারও কোনো প্রিয় দল বুঝি গোল দিয়েছে।

দেখতে দেখতে চলে এল ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ। বিগত বিশ্বকাপের তুলনায় ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে বিশ্বকাপের সব খবর চলে আসতো।

বাসায় বাসায় প্রিয় দলের পতাকা জুড়ে দিয়ে, ফেইসবুকে ঘন ঘন পোস্ট জুড়ে বিভিন্ন দেশের সমর্থকদের ঘন ঘন পোস্টই উৎসব জুড়ে দিচ্ছিল। কোনোটা নিয়েই তেমন কোনো মাথাব্যথা ছিল না আমার। তবে স্বপ্ন দেখতাম একদিন বাংলাদেশও বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে আর সেদিন আমিও গলা হাকিয়ে বাংলাদেশের দেওয়া গোল উদযাপন করব।

এসব ঘটনার মধ্যে দিয়ে এবারের বিশ্বকাপও শেষ হয়ে গেল। অভিবাদন বিজয়ী দলকে। আবারও ২০২২ সালে বিশ্বকাপের আসর জমবে, আবারও বাংলাদেশ মাতবে উন্মাদনায়। স্বপ্ন দেখি সেই উন্মাদনায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে জয়ের মিছিলে সামিল হব। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com