প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াই

পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষই নিজের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের সমাজের প্রতিবন্ধীরা কেন অবহেলিত?
প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াই

তাদেরও মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার আছে। আমি প্রতিবন্ধীদের অবহেলিত কেন বললাম জানেন? কারণ পৃথিবী, জাতি, সভ্যতা, দেশ নিজ গতিতে এগিয়ে চলেছে। শুধু আড়ালে রয়ে যাচ্ছে সেই সব মানুষরা।

সুযোগ পেলে তারাও সমাজ ও দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী শিশুদের এমন ভাবে বড় করা হয় যেন তাদের পৃথিবী দেখা মানা আছে, আছে শিক্ষা পাওয়ার মানা। কারণ ঘর থেকে বের হলেই লোকে নানা কথা বলাবলি করবে। তাই মা বাবাও ইচ্ছা করেই তাদের তেমন ঘরের বাইরে আনেন না।

খুব কম বাবা মা তার প্রতিবন্ধী শিশুকে আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের মতো করে মানুষ করে। এনে দেয় সঠিক শিক্ষার সুযোগ এবং মাথা উঁচু করে বাঁচার সাহস।

অটিস্টিক, অটিজম শিশুদের জন্য রয়েছে আলাদা স্কুল। এখন অবশ্য অনেক বাবা মা তার প্রতিবন্ধী শিশুকে এসব স্কুলে পাঠান। তবে সে সংখ্যা খুবই কম।

যেহেতু তাদের জন্যও স্কুল রয়েছে, তারাও শিক্ষিত হতে পারে। কেন তাহলে আমরা তাদের আটকে রাখব? এ প্রশ্নটা যদিও সহজ কিন্তু উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।

দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া প্রতিবন্ধীর কথা নাহয় বাদ দিলাম অনেক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুটি অনেক সময় বঞ্চিত হয়। সে যদি সুযোগ পায়ও তবুও জীবনটা তার চার দেয়ালেই বন্দী থাকে।

প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের অনেক ভাবনা। প্রতিবেশীরা কি বলবে, আত্মীয় স্বজনরা কি ভাববে? তাই বলে কি সেই শিশুটিকে চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখতে হবে? আমরাই তাদের এই সমাজ থেকে আলাদা করে দিচ্ছি না তো?

এই শিশুদের অন্যরকম করে ভাবার কোনো অবকাশ নেই। কারন তারাও মানুষ তারাও রক্তে মাংসে গড়া ঠিক আমাদের মতো। তারাও নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা দিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে পারে।

এ কুসংস্কারের বেড়াজাল যেন আর একটি শিশুকেও না আটকাতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিবন্ধকতা যেন তাদের বাধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদেরই।

সেই শিশুদের মানবাধিকার রক্ষায় হোক বা তাদের অগ্রগতির রক্ষায় হোক আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে হবে।

সেই সব শিশুদের অভিভাবক, পরিবার, সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

আমি বিশ্বাস করি একটু সুযোগ পেলে তারাও জাতির ভবিষ্যৎ গড়তে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com