লিখতাম কবিতা, গান, গল্প এসব। অনেক সময় ছবিও এঁকে রাখতাম। সেটা ছিল আমার সঙ্গী।
বান্ধবীরা আমার ডায়েরিটা পড়তে চাইতো। কেউ কেউ পড়ে অবাক হতো। আবার কেউ কেউ বলতো এগুলা অন্য বই থেকে নকল করে লেখা। তখন খুব কষ্ট লাগতো।
কোনো কবির লেখা কবিতা, গল্প এগুলো পড়লে মনে হতো আমিও একদিন তাদের মতো বড় কবি হব। আমার লেখাও সবাই পড়বে। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কবি বা লেখিকা হওয়ার চিন্তাও এক সময় কোথাও হারিয়ে গেল।
মানুষের শখের অভাব হয় না। প্রত্যেকেরই অনেক ধরণের শখ থাকে।
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতিও আকর্ষণ ছিল। গান করাটাও একসময় শখ হিসেবে দাঁড়ায়। আমি গান শেখা শুরু করি। অনেকেই প্রশংসা করতে লাগল।
আবার সব সমাজেই কিছু নিন্দুক ধরণের লোক থাকে। তারা প্রশংসা করতে পারুক আর নাই পারুক নিন্দা অবশ্যই করবে। কেউ কেউ বললেন, "মুসলিম পরিবারের ছেলেমেয়েরা নাকি নাচ-গান বা কোনো কিছু শিখতে পারবে না।” তবুও আমি গান শিখেছি। আমার মনে হয়েছে এতে পাপ নেই।
সবাইকেই নিজের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য এ রকম আরোও শত শত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। যে এসব বাঁধাগুলো পেরিয়ে যেতে পারে। সেই পারে তার ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে।
পড়ালেখার চাপে আমি অনেকটা ব্যস্ত হয়ে যাই। কেটে যায় শৈশবের দিনগুলি।
এখনও কোনো গল্প পড়ার সময় মনে হয় সেই লেখিকা হওয়ার ইচ্ছের কথা। ছোটবেলায় বৃষ্টির দিনে আমি কত ডায়েরির পাতা দিয়ে নৌকা বানিয়েছি। এভাবেই কী স্বপ্নগুলো ভেসে গেল?
তবুও আবার স্বপ্ন দেখি। নিজের ইচ্ছেগুলো পূরণের স্বপ্ন।