কক্সবাজারে ঘোরাঘুরি

কদিন আগে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। যেদিন গেলাম সেদিন সারাদিন জার্নি করে রাতে শান্তির ঘুম ঘুমানোর পর সকালে উঠতেই দেখি সবাই খুব ব্যস্ত।
কক্সবাজারে ঘোরাঘুরি

আপু বলছেন, “ওঠ! না হলে দেরি হয়ে যাবে!"

আমি আমতা আমতা করে জবাব দিলাম, কোথায় যাচ্ছি আমরা?

আপুনি বলে উঠল, "আরে, জানিস না? মহেশখালী যাচ্ছিরে! ওঠ ওঠ! ট্রলারে উঠব আজকে।”

আমি তো শুনে মহা খুশি। উঠে দ্রুত তৈরি হয়ে নিলাম। এরপর সকালের নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লাম সবার সাথে।

ব্যাটারিচালিত রিকশায় তে করে ৩০ মিনিট লাগল ননিয়াছড় ঘাটে পৌঁছাতে।

এরপর আম্মু আন্টিরা মিলে একটা ট্রলার ঠিক করলেন। এক ঘণ্টার সেই ট্রলার জার্নি খুব ভালো লেগেছে।

অসাধারণ এক অনুভূতি হয়েছিল মনের মধ্যে। আসলে নতুন অভিজ্ঞতা কার না ভালো লাগে।

ঠিক তখনই চোখ পড়ল আশেপাশের সবুজের উপর।

কি সুন্দর! দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওই নোনতা পানি আর ওই প্রকৃতি যেন আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

আহ! ব্যাপারটা কেমন কাব্যিক ছিল!

অবশেষে পৌঁছালাম গন্তব্যে। একটা প্রকাণ্ড ব্রিজের নিচে ভিড়ল ট্রলার। সেখানে আরো অনেক পর্যটক দাঁড়িয়েছিলেন। কেউ কেউ ছবি তুলছিলেন।

ব্রিজের উপর দিয়ে হাঁটা শুরু করতেই ঠাণ্ডা হাওয়া আমাকে স্পর্শ করে স্বাগত জানালো।

কিছুদূর গিয়ে ব্রিজ থেকে নামতেই দেখলাম একজন নারী কাঁকড়া ধরছেন।

এরপর একটা অটো রিকশা ঠিক করে আমরা গেলাম বৌদ্ধ মন্দির। আমার খুব আনন্দ হচ্ছিল। কারণ এর আগে শুধু বইয়ের পাতাতেই এসব জায়গা সম্পর্কে পড়েছি। এবার নিজের চোখে দেখছি।

বৌদ্ধ মন্দির যেতে লাগল ৩৫ মিনিট। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, অনেক আগে এই জায়গাটি বার্মিজদের আধিপত্যে ছিল। সেই সময়কার এই মন্দিরটি বর্তমানে দেখাশোনা করছে স্থানীয় এক বৌদ্ধ সংস্থা।

মন্দিরের আশেপাশে ঘুরে খুব ভালো লাগলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

এবার ফেরার পালা। কিন্তু ফিরব স্পিড বোটে। খুব মজা লাগল। যখন স্পিড বোট চলছিল তখন মুখে নোনতা পানির ঝাপটা এসে লাগছিল।

হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। খুবই ক্লান্ত ছিলাম আমি। শত ক্লান্তির মাঝেও সেই ঘাটে বাঁধা নৌকা, ট্রলার ও সেই মন্দিরের দৃশ্য চোখের সামনে ভাসছিল।

কত না সুন্দর এই দেশটা আমার।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com