সত্যি কথা স্বীকার করছি, আমিও মনে মনে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন খুঁজেছি। কে না চায়, পরীক্ষার ফল একটু ভালো করতে? কে কীভাবে ভালো ফল করেছে সেটা কেউ খোঁজ নেয় না। তবে জিপিএ পাঁচ না পেলে সবাই বাঁকা চোখে তাকায়।
আবার নিজের কাছে লজ্জাও পেয়েছি এই ভেবে যে, অনেক ছাত্রই তো ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পাচ্ছে না। দাখিলের প্রশ্নও ফাঁস হয় না। এ প্রশ্নগুলি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাই যা জানি সেই জ্ঞান দিয়েই পরীক্ষা শেষ করলাম।
এখন লিখতে গিয়ে ভাবছি, আমার সেই অনৈতিক ইচ্ছার জন্য আমিই শুধু দায়ী?
আরও মনে হচ্ছে, দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন যদি ফাঁস না হয়ে পরীক্ষা হতে পারে, তবে সারা দেশের অন্য পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কেনো আটকান যাচ্ছে না? তাহলে তো প্রশ্নফাঁস আটকানো সম্ভব!
আমরা শিক্ষার্থীরাই পারি প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে। দুর্বল না হয়ে, মনটাকে শক্ত করতে হবে। নিজের নৈতিকতাকে বিসর্জন না দিয়ে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার শপথ নিয়ে হবে।
অথচ মূলধারার তুলনায় আমাদের চাকরি বা উচ্চশিক্ষার সুযোগ কম। এসব ভেবে নিজেকে বঞ্চিত মনে হয়।
পরীক্ষার পরেও স্বস্তি নাই। সাথে যোগ হয়েছে পরীক্ষার ফল ও ভর্তি নিয়ে টেনশন।
আবার মনে হচ্ছে, পরীক্ষা শেষ! এখন বাড়িতে বসে গল্পের বই পড়ব আর ঘুরে বেড়াব। সমাজ কল্যাণে এগিয়ে যাব। অসহায় ও ছিন্নমুল শিশুদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করব। কাজ করব হ্যালোর সাথে।