জিপিএ পাঁচ না পেলেই আমি গোল্লায়?
শিক্ষকের চাপ, বাসায় বাবা মায়ের চাপ, স্কুলের চাপে জীবন হয়ে উঠেছে যান্ত্রিক।
সারাটা দিন পড়াশোনার উপরই থাকতে হয়। খেলাধুলা বা গল্পের বই পড়ার একটু সুযোগ হয় না।
রাতে বাসায় এসেই কি নিস্তার আছে? আবার পড়ার টেবিলে বসে পড়তে হয়। আর পড়তে না বসলে বাবা মায়ের বকুনি। যার ফলে আমরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
একগাদা বই নিয়ে যখন সন্ধ্যায় পড়তে বসি তখন দেখা যায় স্কুলে স্যাররা কি পড়িয়েছেন তা বেমালুম ভুলে গেছি। শুরু হয় নতুন করে পড়া। একটা বই পড়লে আরেকটা বইয়ের পড়া ভুলে যাই।
আর যখন কোনো পরীক্ষা সামনে চলে আসে তখন শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড। জিপিএ পাঁচ বা সর্বোচ্চ নম্বর যেন পেতেই হবে। না পেলেই আমি গোল্লায়! এগুলো যে কত বড় মানসিক চাপ তা অভিভাবকরা যদি বুঝতেন।
এভাবে একজন শিক্ষার্থীর উপর পড়াশোনার চাপ দিতে থাকলে সে আপনা আপনি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভালো ছাত্র হলেও পড়ায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলবে।
আমাদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, আনন্দ, বিনোদনের সুযোগ দিতে হবে। আমি কতটা চাপ নিতে পারি সেটা দেখতে হবে, অযথা চাপিয়ে দিলে হবে না।
পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ভালো বই, সহ শিক্ষা কার্যক্রম, ঘোরাঘুরি আমাদের মানসিক প্রশান্তি দেবে। এতে আমরা মনযোগী হব।