বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল, কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বগুড়ার আরও হাসপাতাল ঘুরেও এমনি দৃশ্যের দেখা মিলেছে।
ডাক্তারের মতে, এ শীতে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশ বেড়েছে। বিশেষ করে সর্দিজ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন।
বগুড়ার যেসব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট কোলাহলে মেতে থাকতো সন্ধ্যা হতেই সেগুলি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না বেশিরভাগ মানুষ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে দুঃস্থ মানুষদের।
গরিব মানুষ রাতভর শীতে কাঁপছে আর প্রহর গুণছে, কখন উঠবে সূর্য! তাদের কাছে সত্যি সত্যিই ‘সকালের এক টুকরো রোদ্দুর এক টুকরো সোনার চেয়েও মনে হয় দামী।’
টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেল, প্রচণ্ড শীত ও আগুন পোহাতে গিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ জন মানুষ মারা গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেক শিশু। বৃদ্ধদের অবস্থাও নাজুক। শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় উত্তরের বেশিরভাগ জেলাতেই তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে গেছে।
উত্তরাঞ্চলকে এবার শীতের চ্যাম্পিয়নও বলা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। দেশ জুড়েই মানুষ শীতে কাঁপছে!
এই কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, নিভে গেছে তাদের উনুনের আগুন। তেমনি চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুঃস্থ ও ভাসমান মানুষ। দেশের বেশিরভাগ সড়ক ও নৌপথে ঘন কুয়াশায় বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। এমনকি বিমান চলাচলও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, শুনতে পাচ্ছি।