এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। খবর শুনে ভেবেছিলাম এমন কত জন তো ফেইল করে। পরের বার পরীক্ষা দিয়ে ভালো করবে ও। কিন্তু ঘটনা শুরু হলো যখন ছেলেটির তার ফল শুনে সাত তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। মনে হয়েছে কতটা দুঃখ, ভয় ও হতাশা থাকলে এত ছোট মানুষও আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ওই বছরই মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকায় এক ছাত্রী আত্মহত্যা করে।
তাছাড়া প্রতিবছরই পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পর এমন ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে যেন। শুধুমাত্র ফেইল করার জন্য বা জিপিএ পাঁচ না পাওয়ায় আত্মহত্যার খবর যখন পত্রিকায় ছাপানো হয় তখন কত শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাত পায় তার খবর আমরা রাখি না।
এই শিশুরা আত্মহত্যা কেন করে? কিসের ভয়ে করে? পরিবারের চাপেই তারা এমনটা করে বলে আমার ধারণা। অথচ একটা জিপিএ পাঁচ কখনও কারো ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না। এই সহজ কথাটা আমাদের পরিবার, স্কুল তথা সমাজ কেউ বোঝে না।
আগে সন্তানকে বুঝুন তারপর নাহয় তার অর্জিত নম্বর নিয়ে ভাববেন। রেজাল্ট খারাপ হলে বুঝিয়ে বলুন। তাকে বকাঝকা করে বা মারের ভয় দেখিয়ে তেমন কোন ফল হাতে আসবে না।
এখন কোন পরীক্ষার ফল বেরোবে শুনলেই বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে ওঠে। মনে হয় আহারে! আবার কাউকে হারিয়ে বসব না তো।
এসএসসির ফল প্রকাশ হলো আজ। আশা করি এমন দুর্ঘটনা ঘটবে না। যারা ভালো করবে তাদের প্রতি অভিনন্দন, আর যারা আশানুরূপ করতে পারেনি তারা যেন ভেঙে না পড়ে সেটার প্রতি খেয়াল রাখার দায়িত্ব আমাদেরই।