কিছুদিন আগে স্কুলে গিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত প্রধান শিক্ষকসহ সবার সঙ্গে দেখা হল।
Published : 27 Mar 2025, 09:10 PM
স্কুলের সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি স্কুলের আঙিনায় পা রাখি ২০১২ সালে। মায়ের হাত ধরে প্রথম স্কুলে যাওয়ার সেই স্মৃতির যুগ কেটে গেলেও এখনো মনে হয় মাত্র কিছুদিন আগের ঘটনা।
নার্সারিতে ভর্তি হয়ে স্কুলে যে যাত্রা শুরু তার শেষ হয়েছে গেল বছর এসএসসি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। মাঝে মাঝে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে। তখন মনটা কেমন ভারি হয়ে যায়।
শুধু পড়াশোনা নয় স্কুলজীবনে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। একক ও দলীয়ভাবে নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া, শিক্ষা সপ্তাহে পুরস্কার পাওয়াসহ নানা আনন্দের মুহূর্ত এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হলদে পাখি তারপর গার্লস গাইড করেছি। প্রতি বছর ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর স্টেডিয়ামের কুচকাওয়াজেও অংশ নিয়েছি।
সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ৪০১ নম্বর কক্ষের কথা। আমাদের দশম শ্রেণির ‘ক’ শাখার নাম এখন ‘শাপলা’। ৫২ জন বন্ধু, টিফিনে গল্প, খেলা, ক্লাসের দুষ্টুমি, বৈসাবি ও সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া সবই ছিল অসাধারণ।
স্কুলে শ্রেণি প্রতিনিধি ছিলাম। তাই হাজিরা খাতার আমাকে দেখতে হত। অনুপস্থিতদের জরিমানা আদায় করতে গিয়ে অনেকের রাগও সহ্য করতে হয়েছে।
কিছুদিন আগে স্কুলে গিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত প্রধান শিক্ষকসহ সবার সঙ্গে দেখা হল। শিক্ষকরা আমাদের দেখে খুশি হলেন, গল্প করলেন।
আসলে স্কুলজীবনের মত বন্ধুত্ব আর কোথাও হয় না। এখন সবার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ হয় না। কিন্তু মনে হয় আবার যদি সবাই একসঙ্গে ক্লাসরুমে ফিরতে পারতাম!
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: খাগড়াছড়ি।