বাল্যবিয়েতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে অবস্থান করছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের দেওয়া এই তথ্য থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, প্রতিবেশি দেশসমূহ থেকে বাল্যবিয়ে রোধে কতটা পিছিয়ে আছি আমরা।
আমাদের দেশের পরিবারগুলো সাধারণত বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মেয়ে বা ছেলেকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একটি বাল্যবিয়ে সংঘটিতে হওয়ার পেছনে পরিবারের পাশাপাশি ঘটকেরও প্রভাব থাকে।
অনেক সময় মেয়ের পরিবার সম্মত না থাকলেও ভালো পাত্রের প্রলোভন দেখিয়ে কিংবা নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বিয়ের জন্য রাজি করান ঘটক। ঘটকরা কখনো কখনো পাত্র বা পাত্রীর বয়স বাড়িয়েও প্রচার করেন। ঘটকদের এই ধরনের কারসাজির কারণেও অনেক সময় বাল্যবিয়ে এড়ানো সম্ভব হয় না বলে আমার মনে হয়।
আমি মনে করি ঘটকদের মাধ্যমেই তাদের মাধ্যমেই বাল্যবিয়ে অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। গ্রামাঞ্চলে একটি বিয়ের তথ্য খুব সম্ভবত সবার আগে জানতে পারেন ঘটক। তাই পাত্র বা পাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে প্রথম সচতেনকারীর ভূমিকা পালন করতে পারেন ঘটক নিজেই।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা