‘এই স্কুলে আমরা সহপাঠীরা পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। সেই বন্ধুদের সঙ্গে আর একসঙ্গে ক্লাস করা হবে না, প্রাত্যহিক সমাবেশে দাঁড়ানো হবে না, একসঙ্গে টিফিন খাওয়াও আর হবে না। এই কথাগুলো ভাবতে অনেক কষ্ট লেগেছিল।’
Published : 18 Apr 2024, 06:55 PM
আমি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেই। জানুয়ারির ১৩ তারিখ স্কুল প্রাঙ্গণে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান হয়।
আমি ও আমার বেশ কয়েকজন সহপাঠী মিলে এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমরা সফলভাবে অনুষ্ঠানটি শেষও করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন স্যার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন স্যারসহ বাকি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। দিনের শুরুতে আমরা প্রধান শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটি। এরপর একে অপরের টি-শার্টে নিজেদের নাম ও একসঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের কথা লিখি। যা এখন আমাদের কাছে একটি স্মৃতির নাম।
এদিন বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক আমাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বিদায় সবাইকেই নিতে হয় কিন্তু কিছু বিদায় ভালোর জন্যও হয়।”
বিদায়ের এই আয়োজনে আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে কিছু আবেগঘন মুহূর্তও সৃষ্টি হয়। এসময় আমরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি।
এই স্কুলে আমরা সহপাঠীরা পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। সেই বন্ধুদের সঙ্গে আর একসঙ্গে ক্লাস করা হবে না, প্রাত্যহিক সমাবেশে দাঁড়ানো হবে না, একসঙ্গে টিফিন খাওয়াও আর হবে না। এই কথাগুলো ভাবতে অনেক কষ্ট লেগেছিল।
বিদায়ের দিন বুঝতে পারি, স্কুল জীবনের দিনগুলোকে কেন জীবনের সোনালী দিন বলা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই বুক ভরা আনন্দ আর বিদায়ের কষ্ট সঙ্গে নিয়ে প্রিয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: মৌলভীবাজার।