আমাদের একটি বড় ভয়, পাছে লোকে কী বলে! কে কী বলবে এটা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আমরা অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে যাই।
পাছে লোকের উদ্দেশ্য থাকে কাউকে হেয় করা, অপমান করা, উত্যক্ত কিংবা অপদস্ত করা। অনলাইন জগতে যখন কেউ আমাদেরকে এরকম বিরক্ত করে থাকে সেটাকে বলা হয় সাইবার বুলিং।
ইন্টারনেটে কারো নামে অপপ্রচার, তার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়া, ক্ষতি সাধনের হুমকি প্রদানসহ নানা ধরনের অপরাধ সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। কখনো আমরা বুঝে কিংবা না বুঝেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং করে থাকি। আমাদের ট্রলের ফলে কারো জীবন হয়ে উঠতে পারে দুর্বিষহ।
এটি একটি মানসিক আক্রমণ। ব্যক্তির মনোজগৎকে ভঙ্গুর করে দিতে পারে সাইবার বুলিং। আমার ধারণা কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরাই সাইবার বুলিংয়ের শিকার বেশি হচ্ছে।
সাইবার বুলিংয়ের ফলে একজন মানুষ মানসিক ট্রমায় পড়ে যেতে পারেন। যা তার বাকি জীবনজুড়েই প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এভাবে কারো জীবনকে নষ্ট করে দেওয়ার আগে অবশ্যই ভাবা উচিত, এই ঘটনাটি নিজের সঙ্গে ঘটলে কী করতাম আমরা।
অনেকেই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েও চুপ করে থাকেন, কারো কাছে তা প্রকাশ করতে চান না। এটা নিছক বোকামি। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে অবশ্যই অভিভাবক বা কাছের মানুষদের জানাতে হবে।
আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে আমাদের দেশে। তাই আইনি পদক্ষেপ নিতে যা যা করণীয় তা অবশ্যই করতে হবে আমাদেরকে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: খুলনা।