‘এক সময় ধরলা নদীর পাশে আমাদের অনেক জমি ছিল। কিন্তু বন্যায় ও নদী ভাঙনের ফলে সেই জমির অনেকটাই নদীতে বিলীন হয়েছে। এভাবে অনেক কৃষকের চাষের জমিটুকুও বিলীন হয়েছে নদীতে।’
Published : 30 Mar 2024, 07:52 PM
আমি একটি গ্রামে বাস করি। আমাদের গ্রামের নাম চর সুভারকুটি। দাদীদের কাছে গল্প শুনেছি আগে আমাদের গ্রামটি দূর্গম চর ছিল। ধীরে ধীরে এটি গ্রামে পরিণত হয়।
আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষক। কৃষিকাজ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই কৃষি কাজ ও মৎস আহরণের সঙ্গে জড়িত।
আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে ধরলা নদী বয়ে গেছে। আমি আমার আব্বুর কাছে গল্প শুনতাম, তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন ধরলা নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যেত। গ্রামের অনেকে সেই মাছ বিক্রি করে অনেক রোজগার করত।
আমিও যখন ছোট ছিলাম তখন প্রায়ই আব্বুর সঙ্গে মাছ কিনতে যেতাম নদীর পাড়ে। সে সময়েও অনেক মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন নদীর পাড়ে গিয়ে আর মাছ পাওয়া যায় না আগের মতো। যা পাওয়া যায় তা অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি করে জেলেরা। গ্রামের দরিদ্র মানুষরা সেই মাছ কিনে খেতে পারে না।
অথচ কয়েক বছর আগেও যখন অনেক মাছ পাওয়া যেত গ্রামের মানুষ তখন অল্প দামে মাছ কিনে পরিবারের আমিষের চাহিদা মেটাতে পারত।
এই যে নদীতে মাছ কমে গেল এর জন্য দায়ী কে? আমার মতে নদীতে মাছে কমে যাওয়ার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কাজ করছে। আর এজন্য দায়ী মানুষই।
শুধু কি মাছ কমে গেছে? জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে বেড়েছে নদী ভাঙন, কমছে চাষের জমি।
এক সময় ধরলা নদীর পাশে আমাদের অনেক জমি ছিল। কিন্তু বন্যায় ও নদী ভাঙনের ফলে সেই জমির অনেকটাই নদীতে বিলীন হয়েছে। এভাবে অনেক কৃষকের চাষের জমিটুকুও বিলীন হয়েছে নদীতে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুড়িগ্রাম।