'সংবাদ পড়ার সময় ব্যাপারটাকে যতটা সহজ মনে হয়, নিজে করতে গেলে তা অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।'
Published : 27 Mar 2024, 01:49 PM
হ্যালো আমার কাছে একটা ভালোবাসার নাম। এই ভালোবাসা গত তিন বছর ধরে ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে।
হ্যালোর সঙ্গে আমার পথচলা ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ঘরবন্দী সময়ে হ্যালোতে লেখালেখি করার গল্পটা কিছুটা সাধারণই ছিল।
কিন্তু অসাধারণ ছিলো হ্যালোর ভাইয়া আপুদের ধৈর্য। প্রথম কয়েকটা স্টোরি করতে গিয়ে প্রচুর ভুল করেছি আমি।
সংবাদ পড়ার সময় ব্যাপারটাকে যতটা সহজ মনে হয়, নিজে করতে গেলে তা অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
আমার ভুলগুলো সব ধৈর্য ধরে শুধরেছেন তারা। যেহেতু আমি কর্মশালা ছাড়াই অনলাইনে নিবন্ধন করে হ্যালোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম তাই আমার পক্ষে বোঝা এবং তাদের আমাকে বোঝানো একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।
প্রথম হ্যালোর অফিসে যাই সে বছরেরই নভেম্বরের ৩ তারিখে। কথা ছিল একটা গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালনা করতে হবে। এরপর আরও কয়েকবার যাওয়া হয়েছে।
হ্যালোতে কাজ করতে গিয়ে অনেক বড় বড় ঘটনার সংবাদ কভার করার সুযোগ পেয়েছি।
সুযোগ পেয়েছি ২০২২ সালে ইউনিসেফ আয়োজিত কন্যাশিশু দিবসের অনুষ্ঠানে সারা বাংলাদেশের শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করার।
গত বছরের ডিসেম্বরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার অংশ হিসেবে সংসদে আমাদের দাবি পৌঁছাতে পেরেছি। এগুলো হ্যালো থেকেই পাওয়া।
হ্যালোতে আমি শিশুদের নিয়ে লেখালেখি করতে পারি, শিশুদের কথা বলতে পারি। বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রমের মতো সমস্যাগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তন আমাকে ভাবাতো অনেক আগে থেকেই। হ্যালোর মাধ্যমেই আমি জলবায়ু নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য লেখালেখি করতে পারি।
এই তিন বছরে আমি অনেকটাই পরিণত। যদিও শেখার কোনো শেষ নেই। তবুও এখন আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।