শিক্ষায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে যেদিন একটি শিশুও শিক্ষার আওতার বাইরে থাকবে না তবেই আমরা পুরোপুরি সফল হতে পারব।
অনেক শিশুই আছে যারা অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে যোগ দিয়েছে কাজে। আমি এমনই একজন শিশুকে চিনি যে থাকে নড়াইলের মহিষখোলা গ্রামে। শিশুটি চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তার বাবা পেশায় একজন স্বল্প আয়ের কর্মচারী। আর মা গৃহকর্মী হিসেবে অন্যের বাসায় কাজ করেন। নয় বছর বয়সী শিশুটি এখন আর স্কুলে যায় না। নানা সময় নানা দোকানে সে কাজ করে। তবে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা পড়াশোনা করাতে চায় তাকে, কিন্তু আর্থিক অনটনে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
তার পরিবার মনে করে, পড়াশোনা না করে পরিবারকে সাহায্য করলে তাদের জীবন-যাপন সহজ হবে। শিশুটি বলছিল সে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু তাকে নিজেদের প্রয়োজনেই বাধ্য হয়ে কাজে যেতে হয়।
তার মতো অনেক শিশুই হয়ত আছে যারা হেরে যাচ্ছে দারিদ্র্যের কাছে। সকল শিশু স্কুলে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা আমার। শিশুদের জীবন সুন্দর হলেই সুন্দর হবে আমাদের দেশ।