শিশুরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। আজকের শিশু একদিন বড় হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সে জন্য শিশুকে জাতির বৃহত্তম স্বার্থে যোগ্য নাগরিক হয়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে।
উন্নত বিশ্বে শিশুদের কল্যাণ ও বিকাশের জন্য রয়েছে পরিচর্যার ব্যবস্থা। কিন্তু আমাদের দেশে অশিক্ষা ও দারিদ্র্যের কারণে অনেক শিশু পরিচর্যা পায় না। বরং জীবনের শুরুতেই তাদেরকে বের হতে হয় জীবিকার সন্ধানে। নিয়োজিত হতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন শ্রমে। অথচ কেউ একটি বার ভাবেন না এই শিশুদের ভবিষ্যৎতের কথা।
দরিদ্র পরিবারে অধিক জন্মের হার শিশু শ্রমের অন্যতম কারণ। অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিশুদের ছোট বেলা থেকে উপার্জনের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য শিশুদের যেতে হয় কাজের খোঁজে। বাবা-মার আর্থিক অবস্থার জন্য শিশুরা অল্প বয়সেই খুব কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হয়।
শৈশব পার করার আগে কোনো শিশু কায়িক শ্রমে নিয়োজিত হলে, তাকে শিশু শ্রম বলে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এই ধরনের শ্রমকে শোষণ বলে বিবেচনা করে। তবুও থেমে নেই শিশু শ্রম।
শিশু শ্রমের উদাহরণ স্বরুপ বলতে পারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই পরিবারের দুটি শিশুর কথা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশু মো. আমিন খাঁন এবং ১৪ বছর বয়সী শিশু মো. সামিম খাঁন। সম্পর্কে তারা দুই ভাই।
আমিন কাজ করছে চায়ের দোকানে। আর সামিম রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করছে।
২০০৬ সালে শিশু শ্রমকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে প্রতি বছর ১২ জুন বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস পালিত হয়। তবুও থেমে নেই শিশু শ্রম।
শিশু অধিকার আইনে ২৮ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে, শিশুর শিক্ষা লাভের অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমাদের দেশে এই স্বীকৃতি থাকলেও অনেক শিশুই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।