দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ তারিখ শনিবার বিকালে শিশুটি গরিলার খাঁচার প্রাচীর বেয়ে উপরে ওঠে এবং পাশে ১০ ফুট গভীর পরিখার মধ্যে পড়ে যায়।
সেখানে হারাম্বে নামের গরিলাটি তাকে ধরে ফেলে। টানতে টানতে বেশ খানিকটা পথ নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে গরিলাটি দুই পায়ের মাঝে শিশুটিকে চেপে ধরে।
শিশুটিকে বাঁচাতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ১৭ বছর বয়সী গরিলাটিকে গুলি করে বলে জানান চিড়িয়াখানার পরিচালক থাইনে মেনার্ড।
গরিলা হত্যার পক্ষে ও বিপক্ষে দুটি দল তৈরি হয়েছে।
কেউ কেউ গরিলাটিকে মেরে ফেলার জন্য আক্ষেপ করছেন, আবার কেউ শিশুটিকে বাঁচাতে গরিলা মেরে ফেলার মত সঠিক পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অনেকে বলেছেন, হয়তো গরিলাটি শিশুটিকে রক্ষা করতে চেয়েছিল। তাই এটিকে হত্যা করা উচিত হয়নি।
এর জবাবে থানে মাইনার্ড বলেন, "এ কাজটি ভালো হত না।"
হারাম্বের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পশুপ্রেমীরা 'জাস্টিস ফর হারাম্বে' নামে একটি ফেইসবুক পেজ খুলেছেন। পেইজে এর পক্ষে কথা বলছেন অনেকেই।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন চিড়িয়াখানার নিরাপত্তার ব্যাপারে।
এর জবাবে মেনার্ড জানান, সিনসিনাটি চিড়িয়াখানা ও গরিলার খাঁচার পরিবেশ যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু শনিবারে চিড়িয়াখানার নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন এসেছিল কিনা তা তিনি আদৌ জানেন না।
সেখান থেকে শিশুটিকে চিড়িয়াখানার হাসপাতালে নেয়া হয়। রোববার রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।