এ উপলক্ষে উপজেলার গ্রামগুলোতে তিনদিন ব্যাপী জামাই উৎসব চলে।
রীতি অনুযায়ী, মেলায় উঠা বড় মাছ আর হরেক রকম মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ণ করা হয় জামাইকে। এর পাশাপাশি উপহার হিসেবে তাদের জন্য কেনা হয় কাঠের আসবাব।
বড়দের কাছে শুনেছি, দেড়শ বছর আগে পোড়াদহ এলাকায় আশ্রয় নেন এক হিন্দু সন্ন্যাসী। তার স্মৃতিতে প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করা হয়।
কথিত আছে ওই সন্ন্যাসী মরা বটগাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দীর্ঘ সাধনার পর মাঘ মাসের শেষ বুধবার সেটি আবার জীবিত হয়। এজন্য জায়গাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে আজও পূজনীয়। আর তা স্মরণেই মেলার আয়োজন করা মাঘের শেষ বুধে।
মেলাটির প্রধান আকর্ষণ হল বিশাল আকারের বিভিন্ন মাছ। মেলায় বড় বড় মাছ দেখতেই বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত মানুষ ভিড় জমায়। মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের মিষ্টির জন্যও বিখ্যাত এই মেলা। মেলা উপলক্ষে ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের বড় বড় মিষ্টি তৈরি করা হয়। এসব কারণে এ মেলার প্রতি শিশুদের একটা বিশেষ আকর্ষণ থাকে।