প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হোক

বর্তমানে যে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেই আলোচনায় আসে প্রশ্ন ফাঁসের কথা। এ যাবত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, মেডিকেল ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগসহ নানা পরীক্ষা বিতর্কিত হয়েছে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায়।

শুধু অভিযোগ ওঠা নয়, রীতিমত অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে ইতোমধ্যে। সত্যতা মিললেও বাতিল হয়নি সে পরীক্ষাগুলো।

২০১৩ সালের প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলাম।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হলো শিক্ষার্থীদের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। এ বয়সে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন ফাঁসের মতো এই নেতিবাচক দিকটির সাথে পরিচিত হচ্ছে সেটা খুবই দুঃখজনক।

পরীক্ষা নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের জন্য। যদি পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন জানা যায় তাহলে পরীক্ষা নিয়ে লাভ কী? প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেলে সঠিকভাবে মেধা যাচাই হয় না। সারাবাছর ধরে যে ছাত্র পড়ালেখা করে, আর ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখে যে পরীক্ষা দেয় তার মান কি এক?

মোটেই না। হয়তো একদিন তা প্রমাণ হবে। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফলে যখন দেখা যায় দুজনের ফল একই তখন কর্মঠ ও ভালো ছাত্রের উৎসাহ হারানোর পাশাপাশি মনটাও ভেঙে যায়।

এমনকি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাতেও উঠেছে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। গোয়েন্দাদের বিবৃতি অনুসারে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে। যারা শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিবেন তাদের নিয়োগ যদি সঠিকভাবে না  হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? তাদের কি অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে না?

সম্প্রতি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এবার সামনে আসছে আমার দ্বিতীয় পাবলিক পরীক্ষা। ভয় হচ্ছে, আমাদের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হবে তো?

এ সব প্রশ্নের উত্তর কার কাছে পাওয়া যাবে জানি না। তবে সবগুলোর উত্তরের সাথে জড়িয়ে আছে একরাশ হতাশা। তবে প্রত্যাশা, প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হোক। প্রয়োজনে মোবাইল, ফেইসবুক বন্ধ করে হোক কী প্রশাসাসনিক গোপনীয়তা কড়াকড়ি করেই হোক।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com