আমি তাদের মধ্যে একজন। দু দফায় এই ফল প্রকাশ করা হবে বলে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
মন খারাপ করে চুপচাপ ঘরে বসে থেকেই শুনছি কলেজে ভর্তি হওয়া বন্ধুদের উল্লাস। আমার ভর্তির ফলাফল পেতে আরও একদিন বাকি।
বোর্ড কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির জন্য আমার মতো হাজারো শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।
যারা ফল হাতে পেয়েছে তারাও কম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যায়নি। শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত সব জায়গায় তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।
ফল সংগ্রহ করতে গিয়ে কখনও দেখা গেছে সার্ভার কাজ করে না আবার কখনও দেখা গেছে ফলাফলের অপশন বাটন উধাও হয়ে গেছে। বারবার পেইজ রিলোড দিয়ে ফলাফল পেয়েও নিস্তার নেই অনেকের।
দেখা গেছে পছন্দের পাঁচটি কলেজের একটিতেও তাদের নাম আসেনি।
জিপিএ-চার নিয়ে পাস করা অনেক শিক্ষার্থীই ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও আমার বন্ধু সাদিয়া ও আসিফ জিপিএ- পাঁচ নিয়েও সে কলেজে ভর্তি হতে পারেনি।
আমার আরেক বন্ধু শুভ্র বিজ্ঞানের ছাত্র। ও ভর্তির জন্য সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগকে নির্বাচন করলেও ওর নাম এসেছে ওই কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে।
এখানেই শেষ নয়। তৌহিদ নামের আমার আরেক বন্ধুর নাম চলে গেছে গার্লস কলেজে।
পত্রিকায় পড়েছি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থীর ফলাফল এসেছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজে। আবার বিজ্ঞান বিভাগের কারো কারো ফল এসেছে ঢাকা কমার্স কলেজ।
এই ঝামেলা এড়াতে কেউ ছুটেছে শিক্ষাবোর্ডের অফিসে আবার কেউ ছুটেছে কলেজে। কেউই কোন সমাধান দিতে পারেনি।
এসব 'খামখেয়ালির' জন্য একের পর ঝক্কি পেরিয়ে অনেকে ভর্তি হতে পারলেও আমরা আছি অপেক্ষায়।