শীতে পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে

শীতে কমেছে রোদের তেজ। বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ছোট হয়ে এসেছে দিনের সময়। বিকলে ৩টা বাজতে না বাজতে দিনের  আলো কমে আসছে। সকাল সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়ছে। সেই সাথে  বাড়ছে কাপড়ের দোকানে ক্রেতার ভিড়।

উত্তরাঞ্চলে নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে পুরোপুরি শীত পড়ে গেছে। গায়ে উঠেছে শীতবস্ত্র। এ অঞ্চলে পুরনো শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীদের দখলে রাস্তা ও রেললাইনের পাশের  ফুটপাত।

নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এ কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ তাদের বেশি দামে নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। তাই পুরাতন শীতবস্ত্রের দিকেই ঝুঁকে পড়ছে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।

গত তিন দিন থেকে তুলনামূলক বেশি শীত পড়ায় শহরে লেপ-তোষক তৈরি ও গরম কাপড় কিনতে ঝুঁকেছে মানুষ। এসব কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কিনে এনে শীতের মৌসুমে বিক্রি করেন।  

শীতের কাপড় কিনতে আসা দিনমজুর লাবিন জানান, এ বছর ফুটপাতে শীতের কাপড়ের দাম অন্য বছরের তুলনায় একটু বেশি। তারপরও শীত থেকে বাঁচতে পরিবারের সবার জন্য কাপড় কিনে বাড়ি ফিরছেন।

শহরে পৌর হকার্স মার্কেটের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, গাইট খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি শুরু হয় পুরাতন বিভিন্ন রকমের কাপড়। এ বছর আমদানি করা পুরাতন কাপড়ের দাম একটু বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে শহরের লেপ-তোষক তৈরির দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। অতিরিক্ত অর্থের আশায় দিনরাত কাজ করছেন তারা। তবে এ বছর লেপ-তোষক তৈরিতে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।

লেপ ব্যবসায়ী বাবু জানান, লেপ তৈরিতে জুম বা আটি তুলার দাম গত বছরের চেয়ে প্রতি কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা বেড়েছে।  এ ছাড়া লেপ তৈরির জন্য ব্যবহৃত প্রতি গজ শালু কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে। সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষক বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com