অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা

অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা  কবির এ আহ্বানের মধ্য দিয়ে বাংলায় আসে পহেলা বৈশাখ। বাঙালির মহা উৎসবের দিন। অনেক আগে থেকেই এ দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরাও আসামসহ বিশ্বের সব বাঙ্গালিরা এ উৎসবটিকে আড়ম্বরের সাথে পালন করে।

ইতিহাস বলে, মোঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তক। তিনি ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তবে বৈদিক যুগে অগ্রহায়ণকে বছরের প্রথম মাস হিসেবে ধরা হতো। পরে খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বৈশাখকে বছরের প্রথম মাস ধরে বাংলা সনের গণনা শুরু হয়।

বৈশাখের এ উৎসব গ্রামের মানুষ অনেক আগে থেকেই পালন করে আসছে। এটি এক সময় বাংলার কৃষি নির্ভর জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল। এখন এটি বাঙালির সর্বজনীন উৎসব হয়ে উঠেছে। রাজধানীসহ দেশে নানা জায়গায় নানা আয়োজনে পালন করা হয় দিনটি।

ব্যবসায়ীরা এদিন হালখাতা খুলতেন। তাদের কাছে দিনটি ছিল গুরুত্বের। পুরাতন হিসাব শেষ করে নতুন হিসাব লেখা ছিল এদিনের বড় কাজ।

এদিন তারা প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বাড়িতে মিষ্টি, মুড়ি, মুড়কি, মণ্ডা পাঠাতো।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মেলা বসত গ্রামের বড় বটগাছের নিচে কিংবা নদীর পাড়ে। এ মেলায় পাওয়া যেতো মৃৎশিল্প, হস্তশিল্প, বাচ্চাদের নানান খেলনা, চুড়ি, চুলের ফিতাসহ আরও অনেক কিছু।

মুড়ি, চিড়া, খই, মণ্ডা, মিঠাই, গজা, বাতাসা, মোয়া, মুড়কিসহ নানা রকম খাবারের পসরা সাজিয়ে দোকানিরা বসতো। তাছাড়া মেলায় ষাড়ের লড়াই, মোরগের লড়াইসহ নানা খেলার আয়োজন করা হত।

মেলায় যাত্রা, পালাগান, জারিগান, গাজীর গান মারফতি, মুর্শিদী, ভাটিয়ালি গানের আসর বসতো। এসব মেলায় পুতুলনাচের আয়োজনও করা হত।

পহেলা বৈশাখের আয়োজন এখন বদলে গেলেও বাঙালির প্রাণের উৎসব এটি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com