শিশুরা ২/৩ বছর বয়সে যে শব্দ বা বাক্য বলতে শেখে, এরা তা পারে না। কখনও তাকে প্রশ্ন করলে উত্তরে সে ওই প্রশ্নই করে থাকে। বিশেষ কোনো আচরণ তাদের বারবার করতেই সাধারণত দেখা যায়। এমন শিশুর মা-বাবাকে অনেক বেশি যত্নবান হতে হয়। তবে অনেক বাবা-মা তাদের অটিস্টিক শিশুর জন্য এক ধরণের সংকোচ বা লজ্জাবোধ করে থাকেন। কিন্তু তা ঠিক?
আজকাল অটিজম সম্পর্কে অনেকেই কিছু খোঁজ খবর রাখেন। কারণ দিন দিন অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রায় সবারই পরিচিত কারো না কারো শিশু অটিজমে আক্রান্ত। এছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দেশে নানা প্রচারও এ বিষয়ে সবার মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলছে।
অনেকে মনে করতে পারেন এটা বুঝি কেবলই ভুক্তভোগীদের দায়। যিনি ভুক্তভোগী শুধু তাকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আসলে আমাদের সবারই এ বিষয়ে কিছু না কিছু দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।
যাকে আমরা আজ অটিস্টিক বলছি, সে কি আজীবন শিশু থাকবে? সবার মত সে-ও একদিন যুবক হবে, পূর্ণ বয়স্ক হবে। এই সমাজেই তাকে বড় হতে হবে। তাকে এ সমাজে চলতে হবে। আমাদের সবারই তার চলার মতো পরিবেশ ও পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে হবে।
আমরা হয়তো সবাই জানি না তারা অনেকেই বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞানী হয়ে থাকে। তাই তার সম্পর্কে আমাদের জানা যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশি কাজে সে করতে পারে। তাই তাদের বিষয়টি লুকিয়ে না রেখে তাদের বাবা-মা একে অপরের সাথে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। এতে একজনের অভিজ্ঞতা অন্য জন কাজে লাগিয়ে তার অটিস্টিক শিশুর বিকাশ সহজ করে তুলতে পারেন।
এপ্রিলের দ্বিতীয় দিন বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে আমরা এগিয়ে আসি পৃথিবীটাকে তাদের জন্য আরো সহজ করে তোলার কাজে।