ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ১৯৪৭ সালের ২৪ অগাস্ট প্রকৌশলী ক্যাথলিকের পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন পাউলো।
তার স্কুল জীবন শুরু হয়েছিল জেসুইট স্কুলে পড়াশোনার মাধ্যমে আর পরবর্তীতে তিনি আইন বিষয়ে পড়েছিলেন।
বাবার স্বপ্ন ছেলে পাউলো আইনজীবী হবে কিন্তু শৈশব থেকে ছেলের স্বপ্ন তার বিপরীত।
পাউলোর স্বপ্ন ছিল লেখক হওয়া, কারণ তিনি সবসময়ই লেখালেখি ভালবাসতেন। অবশেষে, একদিন তার স্বপ্ন পূরণ হল আর বিশ্ব জয়ী লেখক হিসেবে পরিচিত হলেন তিনি।
১৯৭০ সালে, ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দেন এই কিংবদন্তী লেখক। ঘুরে বেড়ান মেক্সিকো, পেরু, বলিভিয়া এবং চিলিসহ ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। তারপর থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন।
লেখালেখি পাশাপাশি তিনি বিখ্যাত ব্রাজিলীয় গায়কদের জন্যে গান লিখেছেন তিনি। তার লিখা গান গেয়েছেন নামকরা গায়ক এলিস রেজিনা ও রিটা লিসহ অনেকে।
অভিনব জাদুকরও ছিলেন পাউলো। সমসাময়িক বিশ্বের জনপ্রিয় জীবিত ঔপন্যাসিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পঠিত লেখকদের হিসেব করতে গেলেই প্রথম কয়েক জনের মধ্যে তাকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও জীবিত লেখকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনূদিত বই থাকায় তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করেছেন।
লেখক হওয়ার সত্ত্বেও লেখার জগতের ভালো লেখার কৌশল আর গভীরতা না থাকায় সমালোচিত লেখক ছিলেন পাউলো। তবে, বিষয়টি আদৌ তার নামধাম আর খ্যাতি কমিয়েছে মনে করলে ভুল হবে।
তার লেখা বইয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 'দ্য আল কেমিস্ট', 'ইলেভেন মিনিটস'সহ আরও অনেক।
তার বই শুধু নিজ দেশে ব্রাজিলে নয়, তার সাড়া পেয়েছে বই বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশের মানুষের কাছে।
লেখালেখিতে নামধাম অর্জনের পর, ২০০২ সালে তাকে ব্রাজিলের একাডেমি অব লেটারসের সদস্য পদ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় তিনি পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারও।
১৯৯৬ সালে পাউলো দরিদ্র শিশু ও বৃদ্ধদের সহযোগিতার একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে ইউনেস্কোর বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন।