নানান রঙের ঈদ

ঈদ মানেই আনন্দ। এক মাস রোজা পালনের পর ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঈদ উদযাপন করে থাকে। অন্য মতাদর্শের অনেক মানুষও এতে সামিল হন। এছাড়াও একেক দেশের ঈদ পালিত একেক রঙে, ভিন্ন ঢঙে।

বাংলাদেশে মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে এখানে প্রতি বছরই ঈদ পালন করা হয় জাঁকজমকের সাথে।ঈদে নতুন পোশাক কিনতে পারে যারা তাদের ভিড় দেখা যায় দোকানগুলোতে। মেয়ে আর শিশুরা হাত রাঙায় মেহেদিতে। সচ্ছল পরিবারে রান্না হয় সেমাইসহ নানান খাবার-দাবার।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আয়োজন করা হয় একাধিক নামাজের জামাত। গ্রামের বাড়িতে স্বজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ভিড় জমে রেলস্টেশন, বাস আর লঞ্চ টার্মিনালে।

এছাড়াও ইন্দোনেশিয়াতেও ঈদে থাকে উৎসবমুখর আয়োজন। দেশটির ঈদ উৎসবের অন্যতম একটি আয়োজন হলো শিশুদের বাতি হাতে পদযাত্রা। ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগিকার্তায় রঙবেরঙের পোশাক পরে এ পদযাত্রা হয়। সাধারণত সোনালি ও লাল রঙের পোশাক পরে ওরা।

ইন্দোনেশিয়ায় ঈদে উৎসবকে বলা হয় লেবারান। শিশুদের বিভিন্ন

উপহার দেওয়া হয়ে থাকে এদিনে। আত্মীয় ও বন্ধুদের কাছে পুরান ভুলভ্রান্তির জন্য পরস্পরের কাছে ক্ষমা চায় ও অভিবাদন জানায়।

মালদ্বীপে সূর্যোদয়ের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদের আনন্দ। সকালে ঈদের নামাজের পর আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যায় তারা। সুস্বাদু খাবার তৈরি আর শিশুদের উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে এ দেশে। উৎসবের অংশ হিসাবে বদুবেরু, ঢাডি জিহান, কাধামালি নামের ঐতিহ্যবাহী নাচের আয়োজন করে ওরা।

সিঙ্গাপুরে ঈদের উৎসব ‘হারিরায়া এইদিলফিতরি’ নামে পরিচিত। পুরুষেরা ‘বাজু মেলায়ু’ ও নারীরা ‘বাজু কুরুং’ নামের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে। সিঙ্গাপুরে যে সব মালয়েশিয়ান মানুষ থাকেন তারাও একই সাজে সাজেন।

তুরস্কেও আনন্দ-উৎসবের সাথে পালন করা হয় ঈদ। এদিন ছোটরা শ্রদ্ধা দেখাতে ও আশীর্বাদ পেতে বড়দের হাতে চুমু দেয়। শিশুদের চকোলেট ও বিভিন্ন মিষ্টি খেতে দেওয়া হয়।

লিবিয়াতে ঈদের দিন ঘোড়সওয়াররা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেনিজেদের প্রদর্শন করেন আর ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে অভিবাদন জানান।

তবে যে সব দেশে ইসলাম ধর্মের মানুষ কম সে দেশে আয়োজন তেমন জমকালো না হলেও মুসলিম পরিবারগুলোতে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়ানো, সুস্বাদু খাবার রান্না করার রীতি রয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com