১৯৯০ সালে বিশ্বে এক কোটি ২৭ লক্ষ শিশু পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যেত কিন্তু এখন সে সংখ্যা ৬০ লক্ষে নেমে এসেছে। ১৯৯০ সালের তুলনায় এই হার ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
১৯৯০ থেকে ২০১৫ এই সময়ে শিশুমৃত্যু হার দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা পুরোপুরি সম্ভব হয় নি।
ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক গীতা রাও গুপ্তা বলেন, “অনেক শিশু এখনও এমন রোগে মারা যাচ্ছে যা প্রতিরোধ করা যায়। এ কারণে আমাদের এখনো অনেক কাজ করতে হবে।”
বিশ্বে প্রতিদিন পাঁচ বছরের নিচে ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। এদের মধ্যে ৪৫ ভাগ শিশু এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে। এর বেশির ভাগ কারণ নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেল্থ বুলেটিন ২০১৪ অনুসারে, শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশেও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার এবং জন্মহার হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে যুগোপযোগী করতে প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিমালা-২০১১।