বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মাহি ও নয়ন আহত হয়। তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালের দিকে স্কুল মাঠে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহি, নয়নসহ তাদের হামলাকারী সহপাঠী বসেছিল। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়ার পর বাড়ি থেকে ছুরি এনে নয়ন ও মাহিকে আঘাত করে ছেলেটি।
তবে কী নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল তা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।
ভোলা সরকারি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, "দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার বিকাশ না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন এক অভিভাবক।
কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ ধরণের ঘটনায় না জড়ানোর শিক্ষা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে আহত নয়নের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, "স্কুলে সন্তানকে পাঠাই পড়াশোনার জন্য। মারামারি করতে নয়। আমার ছেলের হামলাকারীর সঠিক বিচার দাবি করছি।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, হামলাকারী ছেলেটি কয়েক দিন আগেও আরেকজনকে ছুরি মারে।
হামলাকারী ছাত্রটির বাবা বলেন, "ছেলেকে অনেক শাসন করেছি। এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত।"